নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় একটি দোকানের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চেম্বারের পরিচালক ও জামায়াত নেতা গোলাম সারোয়ার সাঈদের উপর হামলা হয়েছে। ওই সময়ে সেখানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা সহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
৭ জুলাই সোমবার দুপুরে চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মসজিদ সংলগ্ন পৌর মার্কেটের ঘটনা ঘটে।
লাঞ্ছনার শিকার গোলাম সারোয়ার সাঈদ জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া বিগত সময়ে জুলাই আগস্ট ছাত্র অভ্যুত্থান আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকাতে ছিলেন। তিনি একাধিকবার কারাবরণ ও কয়েক ডজন মামলার আসামী ছিলেন।
জানা গেছে, চাষাঢ়ায় পৌর মার্কেটের একটি দোকান নিয়ে কয়েকদিন ধরেই মালিকানা বিরোধ ছিল। আশিকুর রহমান নামের একজন দোকানের মালিক দাবী করলেও সাঈদের দাবী তিনি নিজেও ওই দোকানের মালিক। এ নিয়ে মামলা ছিল এবং তিনি মামলায় জয়ী হয়েছেন। আশিকুরের পেছনে কাজ করছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা।
৭ জুলাই দুপুরে সাঈদ ওই দোকানে গিয়ে বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। খবর পেয়ে সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকুর অফিসে থাকা জুলহাস ছুটে এসে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে শকু ঘটনাস্থলে আসলে তার সঙ্গে সাঈদের বাকবিতন্ডা ঘটে। একই সময়ে ছুটে আসেন রানা। তাদের উপস্থিতিতে সঙ্গে থাকা লোকজন সাঈদের উপর হামলা চালিয়ে কিল ঘুষি ও বেধড়ক মারধর করতে থাকে।
হামলার শিকার নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজের পরিচালক ও সাবেক শিবির নেতা গোলাম সারোয়ার সাঈদ বলেন, “ওই দোকানের পুরো জায়গার মালিক আমি। আমি সব আইনী প্রক্রিয়া মেনেই সব করছিলাম। কিন্তু তারা আমার উপর যে আঘাত করেছে এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো।”
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা বলেন, হঠাৎ খবর পাই বুলডেজার দিয়ে দোকান ভেঙ্গে ফেলছে। সে যদি এভাবে গায়ের জোরে সব দখল করে নেয় তা তো কাম্য না। আর আমরা তাকে কোনো আঘাত করি নাই।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু বলেন, খবর শুনে আমি সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে ঘটনাস্থলে যাই। তাকে বলি আপনার কাছে যদি এই জমির মালিকানা থাকে তাহলে আপনি আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোকানের দখল নিতেন। তিনি কয়েকজনের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
আপনার মতামত লিখুন :