বন্দরের মদনপুর এলাকায় ২৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আপেল মারুফের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে বিয়ে করতে চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। রোববার ২৬ অক্টোবর ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এছাড়াও ওই ছাত্রীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবারকে ব্লাক মেইলিংয়ের চেষ্টা করছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
অভিযুক্ত আপেল মাহমুদ ২৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। সে মদনপুর ফুলহর এলাকার আশরাফ উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৪ অক্টোবর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১নং বিবাদী (আপেল মারুফ) আমার মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক তার মতের বিরুদ্ধে তাকে বিয়ে করতে চায়। আমার মেয়ে বিবাহের প্রস্তাবে রাজি না হলে উল্লেখিত ১নং বিবাদী আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে। পরবর্তীতে আমার মেয়েকে খোঁজাখুজি করার চেষ্টা করলে লোকমারফত জানতে পারি ১নং বিবাদীর বাসায় আমার মেয়ে অবস্থান করছে। গত ১৫অক্টোবর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গেদের সাথে নিয়ে আমার মেয়েকে ১নং বিবাদীর বাসা থেকে নিয়ে আসি। আমার মেয়েকে ১নং বিবাদীর বাসা থেকে আনার পর থেকে ১নং বিবাদী আমাকে সহ আমার পরিবারের সবাইকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। উল্লেখিত ১নং বিবাদী আইন অমান্যকারী ও নেশাগ্রস্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদী আমার এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি।
শিক্ষার্থীর মা ও অভিযোগের বাদী জানান, ঘটনার দিন আমি খবর শুনে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে ঢাকায় বনশ্রিতে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর দিন মদনপুরে মার্কেটে আমার স্বামীও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বারাকহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে আসলে আপেল মারুফ এর ভাই মোমেন ও আল-আমিন আমার মেয়েকে ফিরিয়ে এনে দেওয়ার দায়িত্ব নেন। এরপর তারা কাগজে লিখিত নিয়ে আমার মেয়েকে ফেরত দেন এই শর্তে যে এ ব্যাপারে আমরা পুলিশের কাছে যাবোনা। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত আমার মেয়ের ছবি দিয়ে ফেসবুকে নানান ধরনের কথাবার্তা লিখছে এবং আমাদের ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করায় আমরা বাধ্য হয়ে আজকে বন্দর থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী। এ ব্যাপারে অভিযোগটি তদন্তকারী কর্মকর্তা ধামগড় ফাঁড়ির এস.আই হানিফ জানান অভিযোগের এখন পর্যন্ত আমি থানা থেকে অবগত হইনি।








































আপনার মতামত লিখুন :