নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মো. আবু বক্কর (৪৪) নামের এক ব্যবসায়ীর জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষ জমি দখল নিতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ভুক্তভোগীর নির্মাণাধীন দেয়ালে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবু বক্কর ৪ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশের সাহায্য পাচ্ছে না বলে তার অভিযোগ।
অভিযুক্তরা হলেন নাসিক ১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা চান মিয়ার ছেলে মো. শামীম (৪৫), শামীমের সহযোগী মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার আব্দুল হামিদ লাল চান (৬৫), মিজমিজি পূর্বপাড়াস্থ আলআবড়া জামে মসজিদ সংলগ্নের বাসিন্দা হিরা (৩৫) এবং একই এলাকার সিরাজের ছেলে জুয়েল (৩০)।
অভিযোগপত্রে লিখা হয়েছে, ব্যবসায়ী আবু বক্করের পিতা এবং চাচা ১৯৮৯ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ মৌজাস্থিত সি.এস খতিয়ান নং-৫৮৫,এস.এ খতিয়ান নং- ৭৬১,আর এস খতিয়ান নং- ৪৫০, সি.এস ও এস.এ দাগ নং- ১৩৬৬, আর এস দাগ নং- ৪৫৮৬ এ সর্বমোট ৫ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিলমূলে ক্রয় করেন। তাদের এই জমিতে খাজনা-খারিজ কমপ্লিট দেওয়া রয়েছে। পিতার ওয়ারিশ সূত্রে ভুক্তভোগীর নামে নামজারী হলে সে ওই জমিতে টিনশেড স্থাপনার কাজ শুরু করেন। তবে হঠাৎ অভিযুক্তরা এই জমির মিথ্যা কাগজ তৈরির মাধ্যমে নিজেদের মালিকানা দাবি করে আসছিল। এরপর হতে অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে হয়রানী করাসহ ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে যাচ্ছিলো। একপর্যায়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিবাদীরা নারায়ণগঞ্জস্থ বিজ্ঞ আদালতে একটি সি.আর মামলা দায়ের করে। এতে আদালত জমিতে নির্মানাধীন কাজ বন্ধ করার জন্য ভুক্তভোগীকে ১৪৫ ধারা মোতাবেক নোটিশ প্রদান করলে তিনি কাজ বন্ধ রাখেন।
অভিযোগপত্রে আরও ছিল, নিদের্শনাক্রমে আবু বক্কর নিজের জমিতে কাজ বন্ধ রাখলেও অভিযুক্তরা ২২ অক্টোবর রাতে আদালতের নিদের্শনা অমান্য করে জমিতে এসে জোরপূর্বক জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা চালায়। সেদিন তারা লাঠিশোঠা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে উপস্থিত হয়ে জমিতে থাকা ৩টি বৈদাতিক মিটার ও আনুমানিক ৭ ফুট উঁচুট ৬টি দেয়াল ভাঙচুর করে। এতে আনুমানিক ২ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হন। এসময় জমিতে থাকা সিকিউরিটি গার্ড ভাঙচুরে বাঁধা দিলে তাকে এলোপাথারি আঘাত করে শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলামুলা জখম করা হয়।
অভিযোগের দায়িত্ববার পাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, জিডি পেয়েছি যে দেয়াল ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে প্রতিবদেন পাঠিয়ে দিবো।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, এ ঘটনাট তদন্ত করে ব্যবসা নেওয়া হবে।








































আপনার মতামত লিখুন :