বন্দরে আওয়ামী লীগ নেতা মাজহারুল ইসলামের ডকইয়ার্ড থেকে কোটি টাকা মূল্যের চোরাইকৃত কাটিং ড্রেজার জব্দ করেছে বন্দর থানা পুলিশ। শুক্রবার ৭ নভেম্বর দুপুরে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মহনপুরস্থ উল্লেখিত ডকইয়ার্ড অভিযান চালিয়ে ওই চোরাইকৃত ড্রেজারটি জব্ধ করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে সংঘবদ্ধ একটি চোরাকারবারী চক্র অজ্ঞাত স্থান থেকে ড্রেজারটি চুরি করে মাজহারুল ইসলামের ডকইয়ার্ডে কাটিং করে ইসক্রাব হিসেবে বিক্রির জন্য পাঁয়তারা চালাচ্ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ বন্দরের একটি চোরাইকারবারী চক্র দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাইকৃত জাহাজ এনে উল্লেখিত ডকইয়ার্ডে রাতের আধারে কেটে বিভিন্ন ভাঙ্গারি হিসেবে বিক্রি করে আসছিল।
এ ব্যাপারে ডকইয়ার্ড মালিক আওয়ামী লীগ নেতা মাজহারুল জানান, গত বুধবার ৫ নভেম্বর রাতে কথিত বিএনপির নামধারী গুটি কযেকজন নেতা ২৪ ইঞ্চি ডায়ার একটি কাটিং ড্রেজার আমার ডকইয়ার্ডে নিয়ে আসে। তারপর দিন গত বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর তারা ড্রেজারের বিভিন্ন অংশ কাটিং করে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় চোরেরদল কৌশলে কাটিং প্লেট ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ ধাওয়া করেও তাদের ধরতে পারেনি। পরে শুক্রবার ৭ নভেম্বর সকালে চোরাকারবারীরা পুনরায় কাটিং করা সময় দুপুরে পুলিশ এসে ড্রেজারটি জব্দ করে।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, কলাগাছিয়ার মোহনপুরে মাজহারুলের ডকইয়ার্ড একটি চোরাই ড্রেজার কাটিং করা হচ্ছে সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে ড্রেজারটি জব্ধ করে। তবে ড্রেজারের মালিককে এখনো পাওয়া যায়নি। মালিকের সন্ধান করা হচ্ছে। কিভাবে বা কোথা থেকে ড্রেজারটি এখানে আনা হলো তা তদন্ত চলছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে মাজহারুলের ডকইয়ার্ডটি অবৈধ বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। মাজহারুলও তার ডকইয়ার্ডের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। স্থানীয়রা বলেন, এ ডকইয়ার্ডে এর আগেও বেশ কিছু ছোট জাহাজ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। তা চোরাই কিনা জানা নেই।








































আপনার মতামত লিখুন :