ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে প্রত্যাশি প্রার্থীদের নজরে রেখেছে কেন্দ্র। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা নিজেকে দলের মনোনীত করতে কেন্দ্র ও লন্ডনে তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মনোনয়ন নিশ্চিত নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সন্ধ্যা রাতে দফায় দফা বৈঠক করছেন বলে শোনা গেছে। অন্যদিকে পাচঁটি আসনে দলের মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচন পরিচালনায় বিভিন্ন কৌশল ও জনগণের কাছ থেকে ধানের শীষ ভোট গ্রহণে যোগাযোগ বহাল রাখছেন কেন্দ্র।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে প্রবীন নেতা কাজী মনিরুজ্জামান ও তরুণ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান দীপু ভুইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় বিএনপি সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মাসুকুল ইসলাম রাজীব ও মামুন মাহমুদ, নরায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সাবেক এমপি আবুল কালাম, সাখাওয়াত হোসেন খান, আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আবুল কাউসার আশা, মাসুদুজ্জামান মাসুদ, মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ প্রার্থীরা আলোচনা রয়েছেন। তাদের থেকে প্রতিটি আসনে ২/৩ করে দলের মনোনীত প্রার্থী করা হবে বলে কেন্দ্রের সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে গত ২৭ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ায় প্রতি আসনে একাধিক প্রার্থী ঠিক করে রাখা হচ্ছে। আমরা সমগ্র বাংলাদেশে আসনভিত্তিক একাধিক যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এক আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিল, একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ আমলে ওই নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের মতো ঘটনা ঘটলে আসন যেন বিএনপিশূন্য না হয়ে পড়ে, সে জন্য ওই কৌশল নেওয়া হয় বলে তখন দলটির নেতারা জানিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটিই মেসেজ দিতে চাই, যাতে আমাদের দলের ভেতরে ঐক্য থাকে, জাতির ভেতরে ঐক্য থাকে। জাতির মধ্যে ঐক্যটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই ঐক্য বজায় রাখার জন্য কেউ যাতে বিভেদের পথে না যায়, সেই মেসেজটা আমরা দিতে চাই। সারা বাংলাদেশে যুবকদের, তরুণদের রাজনৈতিক ভাবনাকে আহরণ করার জন্য আমরা সমগ্র বাংলাদেশে সফর করেছি। আমরা তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা গ্রহণ করে সামনের দিনে জাতি বিনির্মাণে কীভাবে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা কর্মসূচি প্রণয়ন করছি। আশা করি, এই দেশ একটি তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ হবে।
এবার আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দুই শতাধিক আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তালিকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। জোটের কারণে কিছু আসন ছাড়তে হবে, তাও বিবেচনা করতে হচ্ছে দলটিকে।








































আপনার মতামত লিখুন :