News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২

এলাইড হাসপাতালে প্রতারণা! মৃত্যু ঝুঁকিতে শিশু


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম এলাইড হাসপাতালে প্রতারণা! মৃত্যু ঝুঁকিতে শিশু

শহরের বালুরমাঠ এলাকায় অবস্থিত এলাইড মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতাল লিমিটেড এর চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশিষ সাহার বিরুদ্ধে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মাহফুজুর রহমান নাঈম নামের একজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৪ অক্টোবর বাদী তার স্ত্রী জাকিয়া আক্তার জেরিনকে সিজার করানোর উদ্দেশ্যে এলাইড মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করান। সন্তান প্রসবের পর তাকে জানানো হয় শিশুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সে সময় তিনি তার নবজাতক শিশুকে প্রো-এক্টিভ হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে ডাক্তার দেবাশীষ সাহা তাকে জানায় নবজাতককে কোথাও নেওয়ার প্রয়োজন নাই। তাদের এখানেই এনআইসিও ও সিফাইভ মেশিন এবং আইসিও সহ সকল কিছু আছে বলে নবজাতককে তারা জোরপূর্বক রেখে তারা এনআইসিওতে ১৩ ঘণ্টা রেখে ভুল চিকিৎসা প্রদান করে। পরবর্তীতে ১৫ অক্টোবর রাত পৌনে তিনটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদীকে ফোন করে নবজাতকের কাছে নিয়ে গিয়ে তাকে জানায় নবজাতক শিশুর অবস্থা গুরুতর। তাকে দ্রুত সিফাইভ মেশিন ও আইসিওতে ভর্তি করতে হবে যা তাদের কাছে নেই। কিন্তু বিবাদীগণদের নিকট সকল সুবিধা আছে বলে নবজাতককে এখানে জোর করে রেখে দিয়েছিল। পরবর্তীতে বাদী দ্রুত অনেক কষ্টে সাধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে এবং অনেক টাকা খরচ করে প্রো-এক্টিভ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে সেখানে প্রায় ১৪ দিন চিকিৎসা প্রদান করি। বিবাদীগণের মিথ্যা তথ্য ও ভুল চিকিৎসার কারণে তার নবজাতক শিশু দীর্ঘ ১৪ দিন আইসিওতে কষ্ট ভোগ এবং আমার অধিক পরিমানে টাকা খরচ হয়। বিবাদীগণদের হাসপাতালে সকল সুবিধা আছে বলে লোকজনদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে নবজাতক শিশুদের জীবন নিয়ে খেলে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে মাহফুজুর রহমান নাঈম জানান, আমার স্ত্রীর সিজার অপারেশন করেন ডাক্তার আশরাফুন নাহার সুইটি। সিজারে কোন সমস্যা হয়নি। বাচ্চার কিছুটা ঠান্ডার সমস্যা দেখা দিলে আমি তাকে প্রো-এক্টিভ হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে, তখন হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ যিনি হাসপাতালের মালিক পক্ষও তিনি জানান কোথায় নিতে হবেনা। তাদের কাছে সকল ব্যবস্থা রযেছে। পরবর্তীতে আমার সন্তানের অবস্থা খারাপ হলে আমাকে রাত পৌনে তিনটার দিকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। সেই সময় আমি অনেকটা গাভরে যাই। নিয়ে যাওয়ার সময় আমার বাচ্চাকে রিলিজ দেওয়ার জন্য একমাসের বেক ডেটে কাগজে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি সেই কাগজে স্বাক্ষর করিনি। পরে আমি তাকে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে প্রো-এক্টিভ হাসপাতালে ভর্তি করে ১৪দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর সুস্থ করে বাসায় এনেছি এবং ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আমাকে জানিয়েছে ১৪ ঘণ্টায় আমার বাচ্চাকে এলাইড হাসপাতাল থেকে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ডাক্তার দেবাশীষ সাহার বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হাসপাতালের অফিসিয়াল নাম্বারে ফোন করে ডাক্তার দেবাশীষ সাহার সাথে যোগাযোগের বিকল্প নাম্বার চাইলে তারা জানান, উনি হাসপাতালের চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক। তাই তার নাম্বার দেওয়া যাবে না।

 

Islam's Group