নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্কুল ছাত্রী আলিফা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান সন্দেহভাজনসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো প্রধান সন্দেহভাজন বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মানিক চাঁন মিয়ার ছেলে ফয়সাল ওরফে বাদশা (২৯), একই এলাকার মৃত আহসান মিয়ার ছেলে ইসমাঈল (৪০) ও জামাল মিয়ার ছেলে ইমন (২৫)। নিহত স্কুল ছাত্রী আলিফা মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার রামপাল ধলাগাঁও (হাওলাদার বাড়ি) এলাকার আলী মিয়ার মেয়ে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানার দড়িসোনাকান্দা এলাকার জামান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল। সে সোনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো।
জানা গেছে, গত ২১ ডিসেম্বর দুপুরে স্কুলছাত্রী আলিফা নিখোঁজ হয়। পরদিন ২২ ডিসেম্বর সকালে দড়ি সোনাকান্দাস্থ জনৈক দেলোয়ার হোসেনের বসত বাড়ির সামনে রাস্তার উপর থেকে আলিফার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে ও মুখে আচরের চিহ্ন ছিল। এ ব্যাপারে নিহত স্কুল ছাত্রী মা পারভিন বেগম বাদী হয়ে ২৩ ডিসেম্বর সকালে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোক্তার আশরাফ উদ্দিন জানান, স্কুল ছাত্রী হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর ৩টি টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব-১১ এর একটি টিম ফয়সালকে, পিবিআই এর একটি টিম ইসমাঈলকে ও বন্দর থানা পুলিশ ইমনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশি তদন্ত অব্যহত রয়েছে।



































আপনার মতামত লিখুন :