প্রায় ২৯ লাখ টাকার ইজারাপ্রাপ্ত সরকারি ঘাট ৭০ লাখ টাকায় বিক্রির করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতার টেন্ডার বাতিল করে দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই টেন্ডার বাতিল করা হয়।
সেই সাথে যথা সময়ের মধ্যে আবারও নতুন করে টেন্ডার দেয়া হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আর এই অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হলেন মো. হাসান আলী। তিনি ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক পদে রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ মার্চ ২৮ লক্ষ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা দর দাখিলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নোরায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের রাজাপুর গুদারাঘাটের ইজারা আপনি মো. হাসান আলীকে দেয়া হয়। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার প্রদত্ত প্রতিবেদন সূত্রে এবং বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আপনি হাসান আলী ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে নিজে পরিচালনা না করে অধিক টাকার বিনিময়ে অন্যের নিকট ইজারা প্রদান করেছেন। যা ইজারা ও ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ধৃত আয় বণ্টন সম্পর্কিত নীতিমালা পরিপন্থী এবং আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সেহেতু আপনার ইজারা বাতিল করা হলো এবং জমাকৃত টাকা বাজেয়াপ্ত করা হলো।
এদিকে সম্প্রতি একটি অডিও প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে ফতুল্লা থানা বিএনপির প্রথম সাংগঠনিক পদে থাকা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর (বর্তমানে চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিস্কৃত) সাথে হাসান আলীর কথোপকথন হয়। আর এই কথোপকথনে হাসান আলী ৭০ লক্ষ টাকায় টেন্ডার বিক্রির করার কথা স্বীকার করেছেন।
তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মো. হাসান আলীর সাথে অনেকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, মো. হাসান আলী ইজারা নীতিমালা পরিপন্থী কাজ করেছেন। আমাদের তদন্তে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আর তাই তার ইজারা বাতিল করা হয়েছে। সেই সাথে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবারও নতুন করে রাজাপুর গুদারাঘাটের ইজারা দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :