সাবেক এমপি আবুল কালাম, মডেল গ্রুপের মাসুদুজ্জামান ও প্রাইম গ্রুপের আবু জাফর আহমেদ বাবুল-এ তিনজনই এখন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশি হয়ে মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটির নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছেন। ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে দুইজনের মৃত্যু, তিনজনকে বহিস্কার, একজনকে অব্যাহতি ও দুইজন অসুস্থতার কারণে রাজনীতি নিস্ক্রিয় রয়েছে মহানগর বিএনপিতে।
২২ সেপ্টেম্বর শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ যোগদানের পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি সদস্যদের হিসাব নিকাশ পাল্টে গেছে। অন্যদিকে ২৭ সেপ্টেম্বর আরেক শিল্পপতি আবু জাফর আহম্মেদ বাবুলের উপস্থিতিতে মহানগর বিএনপি আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিবের অনুদানের চেক বিতরণ মাধ্যমে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ছোট পরিসরে পড়ে গেছেন সাবেক এমপি আবুল কালামের সমর্থিত মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি।
জানা যায়, নব্য যোগদানকারী মাসুদুজ্জামান মাসুদকে সমর্থন জানিয়ে সক্রিয় রয়েছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুস সবুর সেন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, সদস্য হাজী ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, হাবিবুর রহমান মিঠু, মনোয়ার হোসেন শোখন, মো. আলমগীর হোসেন, ফারুক আহমেদ রিপন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, শাখাওয়াতুল ইসলাম রানা, মাহাবুব উল্লাহ তপন, শহিদুল ইসলাম রিপন, রাশিদা জামাল, মো. ফারুক হোসেন।
অন্যদিকে শিল্পপতি আবু জাফর আহম্মেদ বাবুলের পাশে দেখা মিলেছে, মহানগর বিএনপি আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবীর, মনির হোসেন খান, ফতেহ মো. রেজা রিপন, সদস্য অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, মাসুদ রানা, ডা. মজিবর রহমান, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, অ্যাডভোকেট এইচ এম আনোয়ার হোসেন, শাহিন আহম্মদ, মো. বরকত উল্লাহ।
অপরদিকে সাবেক এমপি আবুল কালামের সমর্থনে রয়েছেন তার ছেলে মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশা, সদস্য আওলাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, আমিনুল ইসলাম মিঠু। অসুস্থ হয়ে বাড়িতে রয়েছেন মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য হাসান আহমেদ ও অসুস্থ হাবিবুর রহমান দুলাল। অন্যদিকে কামরুল হাসান সাউদ চুন্নু ও হুমায়ূন কবীর কাদের পক্ষে রয়েছেন এমনতা জানা যায়নি।
ইতোমধ্যে রাজপথে মারা গেছেন, এম এইচ মামুন ও মাহমুদুর রহমান। মহানগর থেকে বহিস্কৃত রয়েছেন আতাউর রহমান মুকুল, শওকত হাশেম শকু, হান্নান সরকার ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত হাজী নূর উদ্দিন।
এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নে সবুজ সংকেত পেয়ে মাঠে নেমেছেন শিল্পপতি আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল এমনতা জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে সবুজ সংকেত পেয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছেন শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ এমন বক্তব্যে দিয়েছেন তিনি নিজেই। এদিকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু-নজরে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক তিনবারের এমপি আবুল কালাম। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মহানগর বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। আওয়ামীলীগ সরকার আমলে হামলা মামলা আশংকায় রাজপথে দেখা যায়নি আবুল কালামকে মন্তব্যে করেছেন প্রতিপক্ষ নেতারা। অন্যদিকে তারেক রহমানের নজরে থাকায় শিল্পপতি আবু জাফর আহম্মেদ বাবুলের তৎপরতা নজরে পড়েছে তৃনমূলে।
চলতি বছরের মে মাস থেকে সক্রিয় হয়ে মাঠে নেমেছেন ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক নেতা শিল্পপদি মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা হয়ে ৩০ মে থেকে বর্তমান পর্যন্ত রাজপথ চষে বেড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিদের্শেই কেন্দ্রীয় দলীয় কার্যালয়ে মাসুদুজ্জামান মাসুদ যোগদান করেন। যার কারণে ইতেমধ্যে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি সক্রিয় নেতাদের মধ্যে।
আপনার মতামত লিখুন :