বন্দরে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে চাঁদা দাবির ঘটনায় দুই গ্রুপের মধ্যে টেঁটা যুদ্ধ হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বন্দর থানার দেওলী এলাকায় দফা দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১২জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ ৪ জনের খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলো শিরিন, জুবায়ের, আ: মালেক, রুহুল আমিন, ওমর ফারুক মাকসুদ, আমির হোসেন, রিনা বেগম, রুনা আক্তার। অপর গ্রুপের পারভেজ, বাসেদ ও নাদিম। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেউলী উদয়ন ক্লাব সংলগ্ন সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দেউলী এলাকার মৃত মালেক মিয়ার ছেলে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আরিফ ও বাতেনের সঙ্গে একই এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে নাদিমের বিরোধ চলছে। ওই জমিতে নাদিমের কেনা একটি ঘর রয়েছে। পাশাপাশি আরেকটি ঘর নির্মাণ করতে যায় আরিফ ও বাতেন। এ নিয়ে দুই দিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহত আবদুল বাছেদ চাঁন জানান, তিনি পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি। উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার জন্য তিনি সোমবার সকালে উদয়ন ক্লাবে গেলে আরিফ ও বাতেনের লোকেরা টেটা ,রামদা, চাকু ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে পারভেজ, জোবায়ের, নাদিম ও রোমান টেটাবিদ্ধ হন। এ সময় তাকেসহ আরও কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনার পর আরিফ ও বাতেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে প্রতিপক্ষ। তবে উদয়ন ক্লাব সংলগ্ন জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন দাবি করেছেন বিবাদমান একটি পক্ষ।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :