নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বন্দরের মানুষ শান্তপ্রিয়, বন্দর গণতন্ত্রের প্রিয়, বন্দরের মানুষ মিলেমিশে একসাথে বসবাস করতে চায়। কিন্তু গত ১৫ বছর ফ্যাসিস সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দোসররা বন্দরের মানুষকে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত নিপীড়িত করেছে। বিএনপি কারো প্রভু হবে না, আমরা নেতা নই আপনাদের সেবক হতে চাই। আমরা এখানে কোন চাঁদাবাজকে প্রশ্রয় দেবো না। বিএনপির নাম বলে কেউ চাঁদাবাজি করবে জমি দখল করবে মাদক ব্যবসা করবে তাদেরকে আমরা বিএনপিতে স্থান দেব না। আমরা বলতে চাই ৫ তারিখের পরে কিছু লোক যারা বিএনপিতে সম্পৃক্ততা ছিল না তারা কিছু অপকর্ম করেছে। সেই দায় দায়িত্ব আমাদের বিএনপি’র কিন্তু না। কারণ বিএনপি সরকার ক্ষমতায় নেই আর পুলিশ কিন্তু বিএনপির কথা শোনে না। সুতরাং আমরা যদি ক্ষমতায় আসি তাহলে এগুলাকে প্রতিরোধ করব। আর আপনারা কিন্তু দেখেছেন ইতিমধ্যে কিন্তু যারা অপকর্ম করেছে তাদের মধ্যে সাড়ে ছয় হাজার নেতা কর্মীদেরকে কিন্তু দল থেকে বহিষ্কার করেছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে তাদেরকে জেলে যেতে হতো। ভবিষ্যতে এই বন্দরে কোন অত্যাচারীকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। সবাই মিলে মিশে বন্দরের উন্নয়ন করবো।
বুধবার ২২ অক্টোবর বিকেলে ঢাকেশ্বরী এলাকায় ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
বন্দর ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সফি উদ্দিন সোহেল প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপি সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, ইকবা হোসেন, আলী আহমদ, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনি সভাপতি, মাসুদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফার মিয়া সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম নারু, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :