আওয়ামী ওলামা লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বির্তকিত হাবিবুল্লাহ কাঁচপুরীর সাথে এনসিপি নেতাদের সাক্ষাত ও আলোচনা নিয়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম হয়েছে। নীট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ এর সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আল-আমিন এর দেওয়া বক্তব্যে আলোচিত হয়েছিলো। সেই সূত্র ধরে নারায়ণগঞ্জে তোলারাম কলেজে উদ্যোক্তা সম্মেলনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মোহাম্মদ হাতেমকে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যায়িত করে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে ছাত্রদলের ওই নেতাকর্মীরা নিজেদের বক্তব্যে এনসিপি নেতা আল-আমিন শিল্পকলা একাডেমীতে দেওয়া বক্তব্যে উদ্বৃত টেনে বলেন, ওই ঘটনা থেকে তারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজটি করেছিলেন আবেগাপ্লুত হয়ে।
ফ্যাসিস্ট ও আওয়ামী লীগ বিরোধী এমন মনোভাব রাখা এনসিপি নেতা আল-আমিন ও কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর মত নেতারা ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সমালোচিত হাবিবুল্লাহ কাঁচপুরীর সাথে সাক্ষাত নিয়ে সমালোচনায় যুক্ত হয়েছে ছাত্রদল সহ নেটিজেনরা।
কাঁচপুরীর সাথে এনসিপি নেতাদের আলোচনার ফাঁস হওয়া ছবি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা এন.সি.পির কার্যালয় উদ্বোধন করতে আসেন দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ওই দিন কার্যালয় উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় তার পাশেই বসে ছিলেন আরেক কেন্দ্রীয় নেতা আল-আমিন।
সে দিন দুজনের পড়নে যে পোশাক দেখা গেছে সেই একই পোশাক কাঁচপুরীর সাথে সাক্ষাতের সময়ও দেখতে পাওয়া গেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে ওই সাক্ষাতটি হয়েছে ১১ নভেম্বর। নারায়ণগঞ্জের জেলা কার্যালয় উদ্বোধন শেষে ফেরার পথেই কাঁচপুরীর সাথে সাক্ষাত করেন এনসিপি নেতারা।
তবে কাঁচপুরীর সাথে তাদের সাক্ষাত কারণ এবং আলোচনার বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি এনসিপির দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব থাকা এনসিপির নারায়ণগঞ্জের নেতৃবৃন্দরা এ নিয়ে একটি বাক্যও লিখেন নাই। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তোলা শওকত আলী, যুব শক্তির জাবেদ আলী কোন নেতাই এ নিয়ে কোন কথা বলতে শোনা যায়নি।
এদিকে এনসিপি নেতৃবৃন্দ ও কাঁচপুরীর ওই ছবিতে বিভিন্ন জনকে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ প্রশ্ন ছুড়েছেন তাহলে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করছেন কারা?
তবে সাক্ষাতের বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল আমীন আব্দুল্লাহ আল আমীন জানিয়েছেন , জুলাই আন্দোলনের সময়ে কাঁচপুরীর ডাচ্ বাংলার ভবন পুড়ে গিয়েছিল। তখন সেই ঘটনায় কাচপুরী সাহেবকে আমাদেরকে আসামি করে মামলা করার চাপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তখন আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেনি। মূলত তখন থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তবে এটা কোনো সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়নি। এবং তিনি আমাদেরকে জানিয়েছেন আওয়ামী থেকে পদত্যাগ করেছেন। কোনো সৌজন্য সাক্ষাৎ এটা নয়।








































আপনার মতামত লিখুন :