নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতারা এবার দলীয় মনোনয়নের আশায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। যারা দলীয় পদের আশায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরোধীতা করে আসছিলেন তারাই এবার মনোনয়নের আশায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। দলীয় মনোনয়নের আশায় সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সাথে একসাথে বসে সভা করেছেন।
অথচ কিছুদিন আগেও এসকল নেতারা দলীয় পদের বেলায় নিজেদের মধ্যে বিভক্তিকে লিপ্ত হয়েছিলেন। সেই বিভক্তির সূত্র ধরে নিজেদের মধ্যে রক্ত ঝড়ানোরও ঘটনা ঘটেছিলো। কিন্তু সেই বিভক্তি মিটিয়ে এবার বিএনপি দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক টেবিলে বসেছেন। যা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা আলাপ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নেতাদেরকে ‘স্বার্থের পাগল’ বলে আখ্যায়িত করছেন।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের প্রার্থীতা বাতিলের দাবীতে এক টেবিলে বসেছিলেন মহানগর বিএনপি সহ অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে তারা সকলেই একসাথে বসে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রার্থীতা বাতিলের দাবী জানিয়েন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা সহ আরও অনেকেই। উপস্থিত সকলেই মনোনয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. শাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব হিসেবে অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আর এই কমিটি ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরপরই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১৫ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। যারা সবসময় মহানগর বিএনপির কর্মসূচির বাইরে থাকছেন। তারা সবসময় আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছেন। সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে গিয়ে মহানগর বিএনপিতে একটি বলয় গড়ে উঠেছিলো।
যে বিরোধী পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা। একই সাথে এই বিরোধী পক্ষে সমর্থনে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। এই বিরোধের সূত্র ধরে একপক্ষ আরেকপক্ষের চরম বিরোধী ছিলেন। সেই বিরোধের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছিলো।
একপক্ষ আরেকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছিলেন। কিন্তু এবার তারা সকলেই একে অপরের বিরোধ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। যেন তাদের মধ্যে কোনো সময়ই কোনো বিরোধ ছিলো না।








































আপনার মতামত লিখুন :