নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি আবুল কালাম এখনো সবদিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন। শহর ও বন্দর নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের ভোটারসহ এই নির্বাচনী আসনের অধিকাংশ বিএনপি নেতারা এমনটাই মনে করছেন। আসছে নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন ধারণা সকলের।
রাজনৈতিক নেতা ও ভোটারদের মতে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ভোটারদের কাছে সু পরিচিত আবুল কালাম। তিনি নিজেই একটি ব্র্যান্ড।
বিএনপি ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারাও আবুল কালামকেই এগিয়ে রাখছেন। তাঁরা বলছেন ভোটারদের কাছেই জনপ্রিয় কালাম।
বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে বন্দরের ঐতিহাসিক কদমরসুল দরগাহ জিয়ারত করেছেন অত্র আসনে আবুল কালাম। বুধবার বিকেলে বাদ আসর বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত কদমরসুল দরগাহ জিয়ারতের উদ্দেশ্যে গেলে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন অত্র আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মহানগর বিএনপির নেতা ও প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহাম্মেদ বাবুল।
অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, আগামী দেশ গড়ার কারিগর তারুণ্যের প্রতীক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাকে অত্র আসনে নির্বাচন করার জন্য ধানের শীষ তুলে দিয়েছেন। বিগত দিনে যেভাবে দলের নেতাকর্মীরা আমার পাশে থেকে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন আগামী দিনেও তারা আমার পাশে থেকে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করছি। আমি দলের সকল নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার বয়সের কারণে নবীনদের প্রতি দায়িত্ব থাকবে বেশি। যারা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তাদেরকেও নিজের পাশে চান আবুল কালাম।
সাবেক ছাত্রদল নেতা ও মহানগর বিএনপির সদস্য আওলাদ হোসেন বলেন, কালাম ভাই একজন পরিচ্ছন্ন লোক। তিনি তিনবারের এমপি হলেও তার ভেতরে কোনো অহংকার নেই। দুর্নীতি করে তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক হননি। এটা এই শহরের সবাই জানেন। তাই আগামী নির্বাচনে ৫ আসন ধরে রাখতে হলে তাকেই দরকার। এবং দলও এটা খুব ভালো করেই জানে।
মহানগর বিএনপি নেতা আমিনুর ইসলাম মিঠু বলেন, কালাম ভাই এই মূহূর্তে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন। তিনি কখনো কারে জমি দখল করেনি, চাঁদাবাজীও করেনি। সাধারণ মানুষ এবং আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা তার আচার আচরণে সন্তুষ্ট। আগামী নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও মনে করেন ৫ আসনে বিএনপির যোগ্য প্রার্থী আবুল কালাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জের এক বাসদ নেতা বলেন, আমি তো কালাম সাহেবকেই ফেভারিট মনে করছি। আমি তার সাথে একবার কাজ করেছিলাম। তিনি খুব চৌকশ ব্যক্তি।
নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দর এলাকাতে এ সময়ে তরুণ নেতাদের মধ্যে আলোচিত আবুল কাউসার আশা। নিজ কর্মদক্ষতা আর নেতৃত্বে তিনি ক্রমশ সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই মনে করছেন, পারিবারিক রাজনীতির ঐতিহ্যগতভাবেই আগামীতেও নেতৃত্ব বিকশিত করার সক্ষমতা গড়ে উঠেছে আশার মধ্যে। আশার বাবা আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ৩ বার বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
দাদা হাজী জালাল উদ্দিন আহাম্মেদ ছিলেন বিএনপির নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এবং বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে ১৯৭৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, আশা নারায়ণগঞ্জ কলেজের ভিপি ছিলেন। পরবর্তীতে শহর ছাত্রদলের সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগরের সভাপতি ছিলেন। তিনি এখন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর। মহানগর এলাকাতে তার একটি বড় সমর্থক আছে যারা দলের বাইরে গিয়েও আশা ভক্ত।


































আপনার মতামত লিখুন :