মাত্র সাড়ে ৫ মাসেই পবিত্র কোরআনের হাফেজ হলেন ফতুল্লার বাংলাদেশ খাদঁ গ্রামের ফয়জিয়া মুহম্মাদিয়া দারুস সালাম কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ।
স্থানীয় ও মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা ইউনিয়নের কোতালেরবাগ গ্রামের গার্মেন্ট শিল্প রপ্তানি কাজে নিয়োজিত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ। ছোটবেলা থেকে পরিবারের লোকজন তাকে হাফেজ বানাতে ভর্তি করেন স্থানীয় ফয়জিয়া মুহম্মাদিয়া দারুস সালাম কওমী মাদ্রাসায়।
প্রায় দুই বছরের মধ্যে আব্দুল্লাহ কায়দা, আমপারা ও নাজেরা শেষ করার পাশাপাশি মাত্র সাড়ে ৫ মাসে কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করে। অল্প সময়ের মধ্যে এমনভাবে কোরআন মুখস্থ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। ৩০ পারা কুরআন হিফজ (মুখস্থ) করায় আনন্দিত তার পরিবার ও শিক্ষকরা।
আব্দুল্লাহ বলেন, অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন।
জাতীয় যুবশক্তি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জ জেলার সংগঠক সোহাইল ইসলাম ইফতি বলেন, আব্দুল্লাহ খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী। মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মামুন সাহেবের অধীনে আব্দুল্লাহ ৬ মাসেই হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে তার এমন কোরআন মুখস্থ হওয়ায় আমরাও হতবাক হয়েছি এবং বিষয়টি অনেকটা অলৌকিক ব্যাপার। আগামীতে তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। আব্দুল্লাহ যাতে আরও উচুঁ স্থানে সফলতা নিয়ে যেতে পারে।
আব্দুল্লাহ পিতা আব্দুল মজিদ জানান, ছোটবেলা থেকেই আমি আমার ছেলেকে আল্লাহর পথে রাখতে নামাজ ও কোরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করার ইচ্ছে করেছিলাম। আল্লাহর বিশেষ কৃপায় আব্দুল্লাহ এতো অল্প বয়সে পুরো কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছে, যা তার জীবনের সবচেয়ে বড় সুখের মুহূর্ত। আমি তার পিতা হিসেবে গর্বিত।
ফয়জিয়া মুহম্মাদিয়া দারুস সালাম কওমী মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষা সচিব মুফতি আব্দুর রহমান সাহেব বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে হাফেজ হতে অন্তত তিন বছর সময় লাগে। তবে আব্দুল্লাহ মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্র। তার নিয়মিত অধ্যবসায়, সময়ানুবর্তিতা এবং কোরআনের প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্যই সে এত দ্রুত হিফজ সম্পন্ন করতে পেরেছে। এটি আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত। আমাদের মাদ্রাসায় এমন ঘটনা এই দ্বিতীয় বারের মত। বিগত প্রায় ১৫ বছর আগে ২০১০ সালে ৯ মাসে সাইদুল ইসলাম নামের একজন ছেলে হিফয শেষ করেছিল এই মাদ্রাসা থেকে। আমি আব্দুল্লাহ জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলেন।
উপস্থিত ছিলেন, মুফতি আলাউদ্দিন সাহেব, মাওলানা জুবায়ের, মুফতি আব্দুর রহমান, মুফতি সাইদুল ইসলাম, হাফেজ মামুন, হাফেজ সাইদুল ইসলাম, আব্দুর রউফ, মো: সজিব, মো: মজিবুর রহমান সহ অন্যান্য মাদ্রাসা কমিটি সদস্যগণ।






































আপনার মতামত লিখুন :