News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ব্যতিক্রম আয়োজনে বলদেব মন্দিরে সংকীর্তনের অধিবাস ও গঙ্গা আহ্বান


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ০৯:২১ পিএম ব্যতিক্রম আয়োজনে বলদেব মন্দিরে সংকীর্তনের অধিবাস ও গঙ্গা আহ্বান

শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখড়া ও শিব মন্দির প্রাঙ্গণে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ ও ৩২ প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন মহাযজ্ঞের অধিবাস ও মঙ্গল ঘট স্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখড়া ও শিব মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী ৩ শতাধিক নারী একই রঙে শাড়ী পড়ে হাতে ঘৃত প্রদীপ নিয়ে বাদ্য বাজনা ও উলু ধ্বনীর মাধ্যমে মন্ডলপাড়া হয়ে ডালপট্টি ফায়ার ঘাটে শীতলক্ষ্যা নদীতে গঙ্গা আহ্বান ও জলভড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন।

অধিবাস ও গঙ্গা আহ্বান পূজা সম্পন্ন করেন শ্রী শ্রী রামসীতা জিউর বিগ্রহ মন্দিরের পুরোহিত শ্যামল মহন্ত মহারাজ। মঙ্গলবার সূর্যোদয় হতে শুক্রবার পর্যন্ত ৪দিনে ৩২ প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন চলবে। কীর্তন পরিবেশন করবেন, বরিশালের গৌরভক্ত সম্প্রদায়, ও শ্রী গোবিন্দ সম্প্রদায়, কুমিল্লার নব বেদবানী সম্প্রদায়, পটুয়াখালীর দ্বাদশ রাখাল সম্প্রদায়, গোপালগঞ্জের অষ্টগোপী সম্প্রদায়, নেত্রকোনার অমৃতবানী সম্প্রদায়।

অধিবাস ও গঙ্গা আহ্বান পূজায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আফরোজ হাসান বিভা, সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরুন বিশ্বাস, শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখড়া ও শিব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষ সাহা, প্রধান উপদেষ্টা সংকর সাহা, উপদেষ্টা সুকুমার সাহা সহ সভাপতি ভবেষ সাহা, সহ সভাপতি সুব্রত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জিত ভৌমিক, সহ সম্পাদক মানিক সাহা, কোষাধক্ষ্য স্বপন দাস, সংকীর্তন কমিটির আহ্বায়ক নীল কৃষ্ণ দাস, সদস্য সচিব বিপ্লব সাহা সহ অন্যান্যরা।

সংকীর্তন সম্পর্কে মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি বলেন, বলদেব জিউর আখড়ার সব থেকে বড় ও অন্যতম অনুষ্ঠান হচ্ছে এই একনাম সংকীর্তন। এই সংকীর্তনে সকল ধর্মবর্ণের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। চারদিন ব্যাপী এই সংকীর্তনে আমরা দুপুর এবং সন্ধ্যায় প্রসাদের আয়োজন করি। যতক্ষণ মানুষ থাকবে ততক্ষণ প্রসাদ বিতরণ করা হবে।  এই কলিযুগে সনাতন ধর্মের সব থেকে বড় প্রার্থনা হলো এই হরিনাম সংকীর্তন। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা অনুষ্ঠানটি সার্বজনীন করার চেষ্টা করি। সকল বয়সের মানুষের সাথে আমরা সম্পৃক্ত হই। সারা বিশ্বের মানুষ যেন আমরা শান্তিতে থাকতে পারি সুখে থাকতে পারি এটাই আমাদের কামনা।

মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষ সাহা বলেন, আমরা প্রতিবছর মা মাসিদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে এই সংকীর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজনের চেষ্টা করি। সবাইকে মন্দিরের পক্ষ থেকে সংকীর্তনে আসার জন্য এবং প্রসাদ গ্রহণের জন্য নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

Islam's Group