News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

গুলি ছোড়া ডিশ বাবু দেশ ছেড়েছেন!


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৫, ১০:১৮ পিএম গুলি ছোড়া ডিশ বাবু দেশ ছেড়েছেন!

গডফাদার শামীম ওসমানের সান্নিধ্য পেতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করেছিলো তাদের মধ্যে অন্যতম আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু। আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৭ ও ১৮ জুলাই শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমানের বহর থেকে প্রকাশ্যে ছাত্র-জনতার দিকে নিজের ব্যক্তিগত পিস্তল থেকে গুলি করেন তিনি। জালকুড়িতে বাবুর পিস্তল লোড করার একটি ছবি এবং শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় বাইকের পেছনে বসে ফিল্মি স্টাইলে গুলি করার আরো একটি ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। থানায় দায়ের করা হয়েছে ১০ টিরও বেশি হত্যা মামলা। তবে আব্দুল করিম বাবু এসব কারণে ৫ আগষ্টের পর থেকে পলাতক থাকলেও গুলির ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে এবার সামনে এসেছে তিনি। সম্প্রতি একুশে টেলিভিশনের এক সাংবাদিকের সাথে ভারত থেকে ভিডিও কলে কথা বলেন বাবু।

তবে কয়েকদিন আগে বাবুকে শহরের নয়ামাটি ও আশপাশ এলাকাতে দেখা যায়। এখন তিনি দাবী করছেন দেশের বাইরে। যদিও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দেখভাল করছেন বিএনপির একাধিক নেতা।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, কাউকে গুলি করেছি বা গুলি ফুটিয়েছি এমন কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবেনা। কারো কাছ থেকে ১০ টাকা কখনো নেইনি, কারো কাছ থেকে এক কাপ চাও খাইনি। ভূমিদস্যুতার কথা বলছেন সেই প্রমান আমাকে দেখিয়ে দেন। গুলির ঘটনা অস্বীকার করলেও তার নিজ এলাকার মানুষ বলছে বিদেশে বসে মিথ্যাচার করেছে ডিস বাবু।

বাবুর নিজ এলাকা পাইকপাড়ার বাসিন্দারা জানান, ১৮ জুলাই শহরের নিতাইগঞ্জে প্রকাশ্যে গুলি করেন বাবু ও তার অনুসারীরা। তাই পরবর্তীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নারায়ণগঞ্জ আসলে শামীম ওসমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে বাবুকে হিরো বলে সম্মোধন করেন।

জানা গেছে, ওই ঘটার পরই জালকুড়ি এলাকায় অয়ন ওসমানের সাথে ছাত্র জনতার আন্দোলন দমনে হামলা করে বাবু। সেখানে তার পিস্তল লোড করার বেশ কয়েকটি ছবি এক ব্যক্তির মোবাইল ফোনে ধরাও পড়ে। তবে এরপরও গুলির বিষয়টি বাবু অস্বীকার করায় এটিকে মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

জানা গেছে, দেশী বিদেশী পিস্তল বাবুর পছন্দের তালিকায় ছিলো। তিনি সুযোগ হলেই পছন্দের রিভলবার ও পিস্তল কিনে ফেলতেন। এরপর যেখানে সেখানে সেই অস্ত্র প্রদর্শনও করতেন তিনি। তার ছেলে পিস্তল দিয়ে গুলির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারও দিতেন।

বাবু অবৈধ কাজে বেশির ভাগ সময় অস্ত্র প্রদর্শন করতেন। তিনি এসিল্যান্ডের অফিসসহ আরো অনেক সরকারি কার্যালয়ে কোমড়ে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে তোপের মুখে পড়েছেন বেশ কয়েকবার। তবে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের মদদপুষ্ট হওয়ায় আওয়ামীলীগ আমলে বারবার বেঁচে গেছেন। তথ্য বলছে, সব সময় অবার শামীম ওসমানও বাবুকে রক্ষা করতে পারেনি। ২০১৯ সালে পাইকপাড়ায় বাবুর বাড়ি আমেনা মঞ্জিল থেকে বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় সে ১০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলায় জেলে ছিলেন। অভিযানে ডিবি পুলিশ একটি নাইন এমএম পিস্তল ও একটি শর্টগান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের ৯ টি গুলি উদ্ধার করা হয়।

কয়েকদিন আগে যৌথ বাহিনীর অভিযানের ভয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গোপনে বাবু একটি অস্ত্র জমা দেন বলে জানা গেছে। অথচ তার ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, বাবুর বৈধ-অবৈধ অস্ত্র ভান্ডারের সামান্যই উদ্ধার হয়েছে ও জমা পড়েছে। বাকিগুলো এখনো তার ক্যাডারদের জিম্মায় যা উদ্ধার হওয়া খুবই জরুরী।

Islam's Group