মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনের পর সেই কমিটির বিরোধীতা করে পদবঞ্চিত বিএনপি নেতাদের নিয়ে নিজের আলাদা একটি বলয় তৈরি করেছিলেন বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল। তবে ধীরে ধীরে তার সেই বলয় ভাঙতে শুরু করেছে। মহানগর বিএনপির যেসব নেতারা এতোদিন মুকুলের সাথে দলীয় সভা-সমাবেশ করেছেন তাঁদের অনেকেই চলে গেছেন তারই ভাতিজা আবুল কাউসার আশার সাথে। এছাড়া আরো একটি অংশ যোগ দিয়েছে সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের সাথে।
মহানগর বিএনপি নেতা আওলাদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম মিঠু, হাজী ফারুক হোসেন, হান্নান সরকার, সুলতান আহম্মেদসহ আরো অনেক সিনিয়র বিএনপি নেতারা দীর্ঘদিন মুকুলের সভা সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতেন। তবে তাঁরা সবাই বর্তমানে আবুল কাউসার আশার সাথে যুক্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে আতাউর রহমান মুকুলের আরেক সহযোগী মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টুকে দেখা যাচ্ছে সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের সাথে। সব মিলিয়ে একে একে মুকুলের পাশ থেকে বিএনপি নেতারা সরে আসায় এ নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে বিএনপি নেতাদের মাঝে।
জানা গেছে, ২০২২ সালে মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে বিদ্রোহ করে আলাদা বলয় তৈরি করে বেশ ভালো আলোচনায় আসেন মুকুল। দীর্ঘদিন মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে সভা সমাবেশ করে চমক দেখিয়েছিলেন তিনি। তবে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাবস্থায় সবশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলে রাজনীতির মাঠে কিছুটা পিছিয়ে যান তিনি।
৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ পালিয়ে গেলে বন্দরে মুকুলের ভাতিজা ও সাবেক এমপিপুত্র আশার প্রভাব বৃদ্ধি পেলে মুকুলের আশপাশের লোকজন আশার সাথে ভিড়তে থাকে।
তবে খুব শিঘ্রই বহিষ্কার আদেশ কাটিয়ে আবারো বিএনপি রাজনীতিতে পূর্ণ শক্তি নিয়ে যুক্ত হতে যাচ্ছেন মুকুল এমনটাই জানা গেছে। বহিষ্কার তুলে নিতে তাকে বিএনপির কেন্দ্রীয় এক শীর্ষ নেতা আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। এর পাশাপাশি তিনি নিজে মহানগর বিএনপির সকল নেতাদের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলছেন। যাতে আগামীতে তাদের সকলের সাথে মিলে বিএনপির রাজনীতি করতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :