News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গৃহবধূ মীম হত্যার বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনে স্বজনদের মানববন্ধন


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম গৃহবধূ মীম হত্যার বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনে স্বজনদের মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জে গৃহবধূ মীম হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নিহতের স্বজনেরা। রোববার ২৫মে বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ সময় মীমের বাবা মা কান্না জড়িত কণ্ঠে সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন।

মীমের বাবা আবুল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মেয়ে পরের দিন আমাদের কাছে চলে আসার কথা ছিল। কিন্তু আর আসতে পারলো না। তারা আমার মেয়েকে ফেলে এখন বদনাম দিচ্ছে। এদিকে পুলিশ আমাদের মামলা নিচ্ছেনা। আমি দেশবাসীর কাছে আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন নিহতের স্বজনেরা। মিছিল নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল থেকে তারা মীম হত্যার বিচার চেয়ে স্বামী মুকুল এবং তার পরিবারের জড়িত সকলের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেয়।

এর আগে শনিবার নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল(ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে মানবন্ধন থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থের প্রভাব খাঁটিয়ে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাল্টে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ করেন মীমের পরিবারের সদস্যরা। 

উল্লেখ্য বুধবার ২১ মে দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত আয়েশা আক্তার মিম (২৪) এর বাবা মো. আবুল বাশার ।

মামলা তিনি উল্লেখ করেন,  বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ে মিমের শাশুড়ি মমতাজ (৫০) ও ননদ রাজিয়া (২৫) যৌতুকের জন্য বেদম মারধর করতো। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৪ মে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়েকে মারধর করে তাহার শিশু সন্তানদের রেখে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি মেয়ের কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শুনে মেয়েকে বুঝিয়ে পুনরায় ওই দিনই বিকাল বেলা তার স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। এরপর দিনই খবর পাই আমার মেয়েকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মেরে নীলাফুলা জখম করে। এসময় ১নং আসামি মুকুল হোসেন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার বুক বরাবর স্বজোরে আঘাত করে থেতলে দেয়। 

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় ২নং আসামি রাজিয়া মিমের তলপেটে এলোপাতাড়ি লাথি মারলে রক্তক্ষরণ হয়। তখন ৩নং আসামি শহিদুল্লা তার হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয় বাম পাজরে স্বজোরে আঘাত করে ফ্লোরে ফেলে দেয়। আসামিদের আঘাতে আমার মেয়ে ফ্লোরে পড়ে যায় পরে ৪নং আসামি মমতাজ বেগম চুলের মুঠি ধরে টানা হেছড়া করে। 

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ১নং আসামি মুকুল হোসেন আমার মেয়ে মিমের গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

Islam's Group