গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে নারায়ণগঞ্জে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সারাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় পর্যায়ে গ্রাম আদালত সেবা প্রদান কার্যক্রম আরও গতিশীল করতেই এ কর্মশালার মূল লক্ষ্য।বিভিন্ন প্রশাসন, এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মীরা কর্মশালায় অংশ গ্রহন করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির।
কর্মশালায় নারায়ণগঞ্জ জেলার জুলাই ২০২৪ জুন ২০২৫ গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পর্যালোচনা এবং করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন জেলা ব্যবস্থাপক ফিরোজা বেগম ঝুমুর।
গ্রাম আদালত নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার টি. এম রাহসিন কবির।
তিনি গ্রাম আদালত গঠন, কর্মপরিধি, জরিমানা ও এ আদালত কিভাবে জনগনের সহায়তা করতে পারেন বিশদ বর্ণনা দেন।
জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির বলেন, দেশে আদালতগুলোতে লাখ লাখ মামলা পেন্ডিং রয়েছে। যে কারণে গ্রামের ছোট ছোট মামলাগুলো গ্রাম আদালতে নিস্পত্তি করা গেলে আদালতে মামলা জট অনেক কমবে।
এ সময় তিনি গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করে বলেন, গ্রাম আদালত থাকলে পক্ষপাতিত্ব কম হবে। সঠিক প্রক্রিয়ায় বিচার না হলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আসবে। ছোট-খাটো ঘটনা ঘটলে আমরা থানায় চলে যাই। যে বিষয়ে যাই থানাও জানেনা এটা গ্রাম আদালতে বিচার করা সম্ভব।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ফর পীসের চেয়ারম্যান আরিফ মিহির, প্রভাত সমাজ কল্যান সংসদের চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার দাস, নারায়ণগঞ্জ জেলা রির্পোটার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ্ রাসেল, নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি শরীফ সুমন, আলোকিত বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ শাওন, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আজমীর ইসলাম, ঢাকা নিউজের সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি,আজকের নীর বাংলার বার্তা সম্পাদক আনিসুল হক হীরা, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বিভিন্ন এনজিও এবং প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ।








































আপনার মতামত লিখুন :