আড়াইহাজার উপজেলায় এক রাতেই বসতবাড়ি ও টেক্সটাইল মিলের অফিসে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘঠিত হয়েছে। ডাকাত দল নগদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা, ৮ভরি স্বর্ণালংকার, একাধিক মোবাইল ফোন ও মূল্যবান সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়। বুধবার ১৯ মার্চ রাতে সদর পৌরসভার ঝাউগড়া এবং ছোট বাড়ৈপাড়া গ্রামে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সদর পৌরসভার ঝাউগড়া এলাকায় ব্যাবসায়ী নজরুল ইসলামের বসতবাড়িতে একদল মুখোশ পরিহিত ডাকাত হানা দেয়। আনুমানিক ১০/১২ জন ডাকাত বাড়ির কেচি গেটের তালা কেটে এবং শাবল দিয়ে রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নজরুল ইসলামকে হাত গামছা দিয়ে বেঁধে বিছানায় বসিয়ে রাখে। এরপর তারা স্টিলের আলমারি ও কাঠের ওয়ারড্রবের তালা ভেঙে ২ লাখ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, দুটি বাটন মোবাইল এবং একটি স্মার্টফোন লুট করে নেয়।
এরপর পাশের ভাড়াটিয়া শামীম (৩৫) এর বাসা থেকে ১০ আনা স্বর্ণালংকার ও একটি স্মার্টফোন লুট করা হয়। ডাকাতদের বয়স আনুমানিক ২৫-৩৫ বছরের মধ্যে এবং তারা শর্ট প্যান্ট ও হাফ হাতা গেঞ্জি পরিহিত ছিল।
একই রাতে, ৩টার দিকে আড়াইহাজার থানাধীন ছোট বাড়ৈপাড়া এলাকায় আড়াইহাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম সুমন এর সাইজিং এন্ড টেক্সটাইল মিলে ১০-১২ জন মুখোশধারী ডাকাত প্রবেশ করে। ডাকাতদল অফিস কক্ষের কাঠের দরজা শাবল দিয়ে ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা স্টিলের আলমারি ভেঙে আনুমানিক সাড়ে ৪ লাখ টাকা, একটি মনিটর এবং রেকর্ডিং মেশিন লুট করে নেয়। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, ডাকাতদের বয়স আনুমানিক ২৩-২৭ বছরের মধ্যে এবং তারা কালো মুখোশ পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান “আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছি এবং ডাকাতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। খুব শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :