বন্দরে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা গ্রেপ্তার হলেও রহস্যজনক কারণে একাধিক হত্যা মামলার আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহম্মেদকে রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রথমে ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন মাসুম আহম্মেদ। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি নিজ নির্বাচিত ইউনিয়ন এলাকায় অঘোষিত রাজা বনে গিয়েছিলেন। নিজের মালিকানাধীন এইচ.আর.বি ব্রিক ফিল্ড নামক ইটভাটায় অবৈধ ভাবে ফসলি জমি কেটে মাটি এনে জমির মালিকদের নি:স্ব করেছেন। সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠভাজন হওয়ায় কোনো জমির মালিক তার বিরুদ্ধে কোনো শব্দ করার সাহস পায়নি। তবে একাধিকবার ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে তার ইটভাটার বিরুদ্ধে আর্থিক দণ্ড এবং বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান করলেও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ইটভাটা পুনরায় চালু করেছেন মাসুম আহম্মেদ। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের জমি দখল করে ধামগড় হালুয়াপাড়া এলাকায় মাসুম আহম্মেদ একটি অবৈধ ব্যাটারি ফ্যাক্টরি গড়ে তুলেছেন। যা কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত কেমিক্যালের ধোয়া আশেপাশের মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও মাসুম আহম্মেদের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল, শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ব্যক্তি মালিকানার জমি নিয়ে জমির মালিককে টাকা না দেওয়া, স্কুলের সভাপতি হয়ে কোনো রেজুলেশন ছাড়াও স্কুলের ফান্ড থেকে টাকা উঠিয়ে নেওয়া সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তার এমন আচরণের ধামগড় ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়ানো স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছিলেন। কিন্তু এতেও দমে যায়নি মাসুম আহম্মেদ। সাবেক এমপি সেলিম ওসমানকে ব্যবহার করে বাগিয়েছেন জেলা পরিষদের সদস্য পদ।
কিন্তু গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর মাসুম আহম্মেদ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও কিছুদিন পর বিএনপি নেতাদের সমঝোতার মাধ্যমে তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে আবারো এলাকায় ফিরে আসে মাসুম আহম্মেদ।
একটি সূত্র জানান, বর্তমানে মাসুম আহম্মেদ ধামগড়ে অবস্থান না করলেও নিয়মিত ধামগড় এলাকায় তার যাতায়াত রযেছে। এছাড়াও তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় তার নতুন বাড়ি এবং ঢাকায় নিজের ফ্লাটে অবস্থান করছেন। সেই সাথে এলাকায় তিনি নিজের আধিপত্য ও অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সকল কিছু স্থানীয় বিএনপি নেতাদের শেল্টারে টিকিয়ে রেখেছেন। বন্দরে উত্তরাঞ্চলের ওসমান পরিবারের সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম সৈনিক এই মাসুম আহম্মেদকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ধামগড় এলাকার সাধারণ মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :