বিড়াল কবুতরের বাচ্চা খেয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে মারধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নাসির উদ্দিন (৬৮) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) মারধর করা হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা। এরপর ১ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুরবরণ করে।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার সম্ভূপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি এলাকার আমজাদ আলীর ছেলে।
ভাই আক্তার (৫১) বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত রেখে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলো সম্ভূপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি এলাকার মো. আসাদুল্লাহ (৫০), তার স্ত্রী জুলেখা আক্তার বেবি (৩৮) দুই ছেলে আবির (২৫), অবি (২৮) এবং রকমত উল্লাহর ছেলে রাসেল (৩৮)।
জানা গেছে, অভিযুক্ত আসাদুল্লাহর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী নাসিরের পরিবারের দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল। গেলো ৩০ নভেম্বর অভিযুক্তদের বিড়াল নিহতের ভাই বাদী মো. আক্তারের কবুতরের বাচ্চা খেয়ে ফেলে। এই বাচ্চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের উভয় পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটলে প্রতিবেশীর মারধরে নিহত নাসিরকে গুরুতর হয়। পরবর্তীতে তাকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে মদনপুর এলাকার আল বারাকাহ্ হাসপাতাল নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে সাইনবোর্ডস্থ প্রো অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
বাদী আক্তার হোসেন বলেন, গত রবিবার আমার কবুতরের বাচ্চা আসাদুল্লাহর বিড়াল খেয়ে ফেললে আমি তার কাছে বিচার দিতে যাওয়ার তারা আমাদের পুরো পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয়ে গেলে আমার ভাইকে প্রো-একটিভ হাসপাতালে ভর্তি করি। গতকাল আমার বড়ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।








































আপনার মতামত লিখুন :