নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় মোবাইল চার্জার বিস্ফোরণ হয়ে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে জমে থাকা আগুনে নারীসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার ৬ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৪টায় কাঁচপুর ইউনিয়নের পাটাত্তা এলাকায় আজিজ মিয়ার ৬ তলা বাড়ির নীচ তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন আজিমউদ্দিন মিয়ার ভাড়াটিয়া আলাউদ্দিন(৩৫), তার দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার(৪), এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম(৬৫)। দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগুনের মূল কারণ উদঘাটনে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তবে এ বিষয়ে বাড়ির মালিক আজিমউদ্দিন মিয়া কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, কাঁচপুর এলাকার অনন্ত গার্মেন্টে কাজ করতেন তার ভাই আলাউদ্দিন। শনিবার ভোরে আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় আতঙ্কিত হয়ে আলাউদ্দিন রুমে ঢুকতেই আগুনে ঝলসে যান। একই সময় ঘরে থাকা তার মা ও দুই মেয়েও আগুনে দগ্ধ হন। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ থাকায় তারা দ্রুত বের হতে পারেননি। প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি ধারণা করছেন, রান্না ঘরের গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে গ্যাস ঘরে জমে ছিল। দরজা জানালা বন্ধ থাকায় গ্যাস গুলো বের হতে পারেনি। ফলে মোবাইল চার্জার বিষ্ফোরণ হওয়ার সাথে সাথে আগুন ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। সেই আগুনে তারা দগ্ধ হয়েছে।
আলাউদ্দিনের প্রতিবেশী শরিফ মিয়া জানান, মোবাইল ফোনের চার্জার বিস্ফোরিত হয়। ঘরে সম্ভবত গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে গ্যাস জমে ছিল। জমে থাকা গ্যাসে আগুনে স্পর্শ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ঝলসে যায় যায়। এতে তারা দগ্ধ হন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, সিমলার ৩০ শতাংশ, জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ এবং শিফার ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তারা বার্ণ ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তবে তিনি ছুটিতে থাকায় বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছে না।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে থাকা অবস্থায় আগুনে স্পর্শ পাওয়ায় এ বিস্ফোরণ হয়। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে আগুনের কারণ জানা যাবে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান খান বলেন, আগুনে দগ্ধ হওয়ার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য বার্ণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।








































আপনার মতামত লিখুন :