নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় নবাব সলিমউল্লাহ রোডের পাশে অবস্থিত বাংলাদেশ হোসিয়ারী সমিতির ভবন দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
সম্প্রতি টিপুর বিরুদ্ধে দখলের অভিযোগ করেছে হোসিয়ারী সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বদু। তিনি টিপুকে শামীম ওসমানের পালিত বলেও মন্তব্য করেছেন। তবে পরবর্তীতে এর কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপি নেতা টিপু। হোসিয়ারী সমিতির ভবন দখলের বিষয়টি অস্বীকার করার পাশাপাশি সমিতির বর্তমান সভাপতি বদুর উদ্দেশ্যে টিপু বলেন, বদু সেলিম ওসমানের কাছে বন্ড সই দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিল।
টিপু বলেন, গত ১৬ বছর বদু কোনো রাজনীতি বা কিছু করেনি। ওদের (ওসমান পরিবার) সাথে আছিলো। সে আমাকে বলেছে লাথি মেরে বের করে দিবে। সে যেই ভাষায় কথা বলছে সেটা কোনো ভদ্র লোকের ভাষা না। নিষিদ্ধ পল্লীর সন্তানদের ভাষা। সে যদি লাথি মাইরা আমাকে সরায় দিতে চায় তাহলে আমি কি আঙ্গুল চুষমু। হোসিয়ারী সমিতি কি তা বাবার জায়গা।
টিপু আরো বলেন, বদু গন্ড মূর্খ। অল্প পানির মাছ বেশি পানিতে পড়লে যা হয়। বদু জীবনে বিএনপির সদস্য সচিব হতে পারবোনা। আমি তো একটা জায়গায় আছি এখন। অতীতের রেকর্ড দেখলে বোঝা যাবে বদু কি ছিলো আর আমি কি ছিলাম। হোসিয়ারী সমিতির ভবন আমরা কোনো ভাবেই দখল করিনি। মিশনপাড়ার আমার এক ভাতিজা এটা ভাড়া নিছে। আমি সেখানে বসে লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করি। এখানে অর (বদু) কি? যারা এটা ভাড়া নিসে তারা কি ভাড়া আটকায় রাখসে? হোসিয়ারী সমিতিতে যারা আওয়ামীলীগের দোসর ছিলো তাদের নিয়ে বদু প্যানেল করছে। আড়াইশ তিনশ ভোট বানাইয়া কোনো মতে জিতে আসছে। এখন সে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে চায়।
এরা আগে হোসিয়ারী সমিতির ভবন দখলের অভিযোগ তুলে সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বদু মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘টিপু হোসিয়ারি সমিতির মিলনায়তন টর্চার সেল বানাইছে ও অফিসটা দখল করেছে। ওরে এরেস্ট করা উচিৎ। অনেকের কাছে আমি এই বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি। আমি ওরে বের করার চেষ্টা করতাছি। ও শামীম ওসমানের মাসোয়ারা খাওয়া পালিত কু**।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এতদিন বিএনপির নেতা বলে আইনগত কোন পথে হাটিনাই। কিন্তু এখন যেই অবস্থা তাতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি, আমাকে বলছে ঈদের পর যদি না ছাড়ে তাহলে সবাই মিলে লাথি দিয়ে বের করে দিবে। ঈদের জন্য আমরা অপেক্ষা করতাছি। ডিসিকেও জানাইছি বিষয়টা। ওর মত শামীম ওসমানের মাসোয়ারা খাওয়া লোক কিভাবে বিএনপির সেক্রেটারি হয় এইটা আমাদের বোধগম্য না।
আপনার মতামত লিখুন :