News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

বন্দরে ইসলামী আন্দোলন নেতার উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম বন্দরে ইসলামী আন্দোলন নেতার উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি

ইসলামী আন্দোলনের নেতা আব্দুল্লাহ আল-মামুনের উপর মাদক কারবারিদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবিএম সিরাজুল মামুন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে আমিরাবাদে ইসলামী আন্দোলনের নেতা মামুনের বাড়িতে দেখতে যান খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ কবির হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ, ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক শরীফ মিয়াজী, বন্দর থানা পশ্চিম শাখার সভাপতি মাওলানা ফরিদুজ্জামান ও মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এবিএম সিরাজুল মামুন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন- এই কাপুরুষোচিত হামলায় ডাক্তার মামুন গুরুতর আহত হয়েছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁর উপর এমন হামলা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষতির কারণ নয়; বরং এটি সমাজে মাদক কারবারিদের বেপরোয়া আধিপত্য এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির এক সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।  

তিনি আরো বলেন- আমরা অত্যন্ত ব্যথিত এবং উদ্বিগ্ন যে, এই হামলার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত জড়িত কোনো সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ঘটনায় আমরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছি।

এসময় নেতৃবৃন্দ- আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনকে এবিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং ডাক্তার মামুনের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে সুবিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান। সেই সাথে বন্দরের ২৪নং ওয়ার্ডসহ সারাদেশে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে বন্দর উপজেলার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের আমিরাবাদ এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর বন্দর থানা উত্তরের সভাপতি ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন কর্তৃক স্থানীয় মাদকসেবীদের মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ডা. মামুনকে টার্গেট করে। এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমিরাবাদ এলাকায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। হামলায় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভিকি, ইমন, সুজন ও নাজিম-সহ আরও কয়েকজন জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

Islam's Group