নারায়ণগঞ্জে এক সময়ের ত্রাস আজমেরী ওসমানের ক্যাডার বাহিনী এখনো বিএনপির উপর ভর করে আছে। ৫ আগস্টে হাসিনা ও সরকারের পতনের পর আজমেরী ওসমান দেশ ছেড়ে পালালেও অনুসারীরা কিছুদিন গা ঢাকা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তারা এখন বিএনপি নেতাদের উপর ভর করেছেন। সবশেষ ৭ জুলাই শহরের চাষাঢ়ায় পৌর মার্কেটে একটি দোকানের মালিকানা নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে আজমেরী ওসমানের এক ক্যাডারকে দেখা গেছে প্রকাশ্যে নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক গোলাম সারোয়ার সাঈদকে মারধর করেছে। হামলাকারী নিজেই বিএনপির পক্ষে ভাড়ায় খাটেন।
চাষাঢ়ায় হামলার সময়ে আজমীর ওসমানের সহযোগী কাউসার ১৯ জুলাই শামীম ওসমানের সাথে সরাসরি ছাত্রদের উপর গুলি চালানো ১৮ নং ওয়ার্ডের সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান এ হামলায় জড়িত।
জানা গেছে, বহুল আলোচিত সমালোচিত আজমেরী ওসমান এখন ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছেন। আজমেরী ওসমান প্রায়শই মারকুইজ স্ট্রিট এলাকাতে আসেন। এ এলাকাটি মূলত বাংলাদেশীদের জন্য পছন্দের জায়গা। নিউ মার্কেটের কাছাকাছি হওয়াতে এখানে প্রচুর বাংলাদেশী বসবাস করেন। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা হতে চলাচলকরা বাসগুলোর কাউন্টার এ এলাকাতেই অবস্থিত। দুপুরে ও সন্ধ্যায় দুই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো গিয়ে পৌছায়। সেখানে বাসে নারায়ণগঞ্জের কাউকে পেলেই তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন আজমেরী ওসমান। দিনে পৌছানো বাসের যাত্রীদের পরিচিতদের ফোন নাম্বার দিয়ে দিচ্ছেন তিনি। পরে সন্ধ্যায় বা রাতেও তাদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠছেন।
গত ৫ আগস্ট বিকেলে শহরের কলেজ রোড এলাকাতে আজমেরী ওসমানের বাড়িতে হামলা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা বাড়ির নিচে থাকা গাড়ি ও মটরসাইকেল ভাঙচুর করে। ভবনের ফ্লাটেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এর আগেই স্বপরিবারে আজমেরী ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :