নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী পলায়ন করার পরও আইভী দম্ভ দেখিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা হত্যা করেছে তারা বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তারা পলায়ন করেছে।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর রিমান্ড শুনানী শেষে এসব কথা বলেন। এদিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা রিকশাচালক মো. তুহিন হত্যা মামলায় সাতদিনের রিমাÐ আবেদন করলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদির এ আদেশ দেন।
ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আইভী দম্ভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়নি। সে মনে করেছে আমি মেয়র আইভী আমাকে কে গ্রেফতার করবে? সে আদালতেও স্যালেন্ডার করেনি। পুলিশ তাকে ধরতে গিয়ে সারারাত অবরুদ্ধ ছিলো। আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ স্বশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী সারারাত আওয়ামী লীগের স্লোগান দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী তাদের নির্দেশে শত শত আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী সর্টগান পিস্তল দেশী বিদেশী আস্ত্র আগ্নেয়াস্ত্র গোলা বারুদ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভয়াবহ তান্ডব লীলা সৃষ্টি করেছিলো। সাধারণ মানুষ শ্বাস নিতে পারছিলেন না। মৃত্যু উপত্যকা তৈরি করেছিলো।
এর আগে রাতভর অভিযান চালিয়ে গত ৯ মে শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার চুনকা কুটিরের নিজ বাসা থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইভীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোট ছয়টি মামলা আছে। একে একে ছয়টি মামলাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।
আপনার মতামত লিখুন :