নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীর মাকে (বাদী) ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ভুক্তভোগী পরিবারকে ১ লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের হাতুড়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (৭ জুলাই) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলো জামপুর ইউনিয়নের হাতুরাপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ, লাল চান এবং ফয়েজ ভুঁইয়া।
জানা যায়, ৬ জুলৈই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল। ফেরার পথে অভিযুক্ত আব্দুলাহ কাঁঠাল খাওয়ানোর কথা বলে ভুক্তভোগীকে তার বাসায় নিয়ে যান। পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ স্কুল শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তার ঘরে ঢুকিয়ে আটকে ফেলে। একপর্যায়ে অন্য আরও দুই সহযোগীকে ফোন করে এনে তিনজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যে আইনের আশ্রয় নিলে অথবা বিষয়টি কাউকে জানালে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলবে। ভুক্তভোগীর মা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় রান্নার কাজ করেন।
ভুক্তভোগীর বোন জামাতা বলেছেন, আমার সালি তিনদিন আগে স্কুল থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ তার পথ আটকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। ওইসময় আমার শ্যালিকাকে আব্দুল্লাহ বলেছিল যে তার স্ত্রী ওর জন্য কাঁঠাল রেখেছে। এই কথা মতো আমার শ্যালিকা আব্দুল্লার সঙ্গে তার বাসায় গিয়ে ঘরে ঢুকে দেখতে পান যে আব্দুল্লার স্ত্রী নাই। পরে তাকে স্ত্রীর কথা জিজ্ঞাসা করা হলে আব্দুল্লাহ কোনো কথা না বলেই তার ঘরের খাটের সঙ্গে বেধে তার দুই সহযোগীকে ফোন দিয়ে বাসায় এনে তিনজন মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আমার শ্বাশুড়ি এই ঘটনা তালতলা ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের তিন দিন হলেও আমরা কোনো সমাধান পাই নাই।
ধর্ষণ অভিযোগের তদন্তবার পাওয়া তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম বলেন, এই ঘটনায় বাদী অভিযোগ করলেও তাদের কোনো আগ্রহ নেই। আমি সকালে গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছি। কিন্তু কোনো তথ্য পাইনি।
তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল হক বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে অবগত নই এসআইয়ের সঙ্গে কথা বলে জেনে বিস্তারিত বলতে পারবো।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছুক্ষণ আগে জেনেছি। এটি নাকি ১ মাস আগের ঘটনা। তবে অভিযোগ হয়েছে ৬ জুলাই। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআইকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :