নারায়ণগঞ্জের আলোচিত বিএনপি নেতা জাকির খানের সমালোচনা কিছুতেই দূর হচ্ছে না। এবার তাঁর দেওভোগের বাসায় দেখা গেছে আওয়ামী লীগের কয়েকজন দুর্ধর্ষ ক্যাডারকে। ৫ আগস্টের পর তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল মানুষ। খুন, চাঁদাবাজী, দখলবাজী সহ প্রচুর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। দুর্ধর্ষ প্রকৃতির এসব সন্ত্রাসীদের এবার জাকির খানের সঙ্গে দেখা দেওয়াতে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত বর্তমান সময়ে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে সব থেকে আলোচিত একটি নাম হচ্ছে জাকির খান। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে দলে কোথাও কোন পদ পদবি না থাকলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বড় একটি অংশের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন সাবেক এই ছাত্র নেতা। বিভিন্ন সময় তার নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য এসব খবরে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে জাকির খান। সম্প্রতি মোবাইল ফোনে এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদাদাবির ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছে তার নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবি করা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য। এছাড়াও বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাটে তার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ জোড়ালো হলে গভীর রাতে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন জনকে শাসানোর খরব শোনা গেছে। সব কিছু ছাপিয়ে জাকির খান বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে আলোচিত একটি নাম। আর তার বিশাল অনুসারীরা তাকে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা নির্যাতিত নির্বাসিত আখ্যায়িত করার পাশাপাশি বিএনপির দু:সময়ের কান্ডারি এবং শামীম ওসমানকে টক্কর দেওয়ার মত নেতা আখ্যায়িত করে থাকেন।
২০০৩ সালে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন অপারেশন ক্লিন হার্ট চলাকালীন সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি সাব্বির আলম খন্দকার খুন হওয়ার পর এ মামলার আসামি হওয়ায় তিনি নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ এর একটি অভিযানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি সাব্বির আলম হত্যা মামলার রায়ে তিনি এবং মামলার অন্য আসামিরা খালাস পান এবং ১৩ এপ্রিল কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে জাকির খান।
তবে কারাগারে থাকাবস্থায় তার কিছু ছবি ভাইরাল হয়ে উঠে। তখন কারাগারের হাসপাতালের বেডে শুয়ে মোবাইলে কথা বলেন তিনি।
এবার কারামুক্ত জাকির খানের বাসায় দেখা গেছে লালমনিরহাট পৌর যুবলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে। তারা এলাকার দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। মিজানকে এলাকাতে ‘কিলার মিজান’ হিসেবেই সকলে চিনে।
সম্প্রতি তারা দেওভোগের বাসায় এসেছিল। তাদের সঙ্গে আসা একজন এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেন। তখন তারা দুপুরের খাবার খাচ্ছিল। ওই ছবি পোস্ট হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি ঘটে।
আপনার মতামত লিখুন :