নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক, সদস্য সচিব ও সাবেক এমপি সাথে পাল্লা গিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দলের মনোনীত হন মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সদ্য যোগদানকারী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। মনোনীত হওয়ার আগেই মাসুদুজ্জামানকে গোপনে প্রকাশ্যে সমর্থন নিয়ে মাঠ চষে বেড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল। ১১নং ওয়ার্ড দুইজন হওয়া সুবাদে দীর্ঘ বছর ধরে তাদের মধ্যে বিএনপি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। একই ১১নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মডেল মাসুদের আশির্বাদে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে থাকে। সেই মাসুদুজ্জামান মাসুদকে বিএনপিতে ঐক্যে কারিগর হিসেবে আলোচিত হয়েছেন এবার যুবদল নেতা সজল।
জানা যায়, গত মাস অক্টোবর জুড়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের তোড়জোড় ছিলো প্রতিনিয়ত। সেখানে মহানগর যুবদলের আহবায়ক হওয়ার কারণে মনিরুল ইসলাম সজল প্রত্যাশি প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ ছিলো অব্যাহত। এক পর্যায়ে দলের নীতি নির্ধারকদের নিদের্শনায় ২২ সেপ্টেম্বর বিএনপিতে যোগদানকারী মাসুদুজ্জামান মাসুদের সাথে প্রকাশ্যে দেখা দেন মনিরুল ইসলাম সজল। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বিশাল মিছিল নিয়ে মাসুদের অনুষ্ঠানগুলো সফল করেছেন।
গত ১৮ অক্টোবর কিল্লারপুল এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মহানগর যুবদলের আয়োজনে যুবসমাবেশে মাসুদুজ্জামান মাসুদকে সমর্থন ঘোষণা করেন। এতে করে মহানগর যুবদলের বর্তমান নেতৃত্বে নিয়ে সমালোচনা করেন মনোনয়ন প্রত্যাশি একাংশরা। তারপরও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে শহর-বন্দর যুবদলের নেতা-কর্মীরা সক্রিয় রূপ নেয়।
যুব সমাবেশে সজল বলেন, মাসুদ ভাই ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রীড়া অঙ্গন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থেকেছেন। মেধাভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে তিনি দলের বৃহৎ অংশের আস্থা অর্জন করেছেন। এখন তিনি নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন নেতা। মাসুদুজ্জামান মাসুদ যুবদলের সোনালী ফসল। তিনি এই এলাকার কৃতি সন্তান। আমরা তাকে নারায়ণগঞ্জের আগামীদিনের রাজনীতিতে নেতৃত্ব হিসেবে দেখতে চাই। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের প্রত্যেক নেতাকর্মী আমরা তার পাশে আছি। সেটা সাংসদ হলেও আছি না হলেও আছি। ওয়াদা করছি তারেক রহমান ও দল যাকে নমিনেশন দিবেন মাসুদ ভাইকে সাথে নিয়ে তার পাশে আছি।
শুধু বক্তব্যে সজল সক্রিয় নয়, ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে বিএনপি মনোনীত হওয়া পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। সেখানে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিতদের কাছে যাবেন ঘোষনা দেন। সেখানে মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক এমপি আবুল কালামের বাসায় মাসুদুজ্জামানকে নিয়ে যান মনিরুল ইসলাম সজল। হেঁটে হেঁটে যাত্রাকালে ‘মাসুদ-কালাম ভাই-ধানের শীষে ভোট চাই’ স্লোগানে মুখরিত ছিলো শহর।
পরদিন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানের চেম্বারে মাসুদুজ্জামান মাসুদকে নিয়ে যান সজল। এর আগে মহানগর বিএনপি সদস্য আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র বাড়িতে যান তিনি। তাদের আলাপচারিতায় বেশিভাগ ঐক্যের সুরে কথা বলেছেন যুবদলের সজল। সজলের কারিশমায় বন্দর থানা ও উপজেলা বিএনপিতে ছড়িয়েছে। থানা ও উপজেলা নেতাদের সাথে মাসুদুজ্জামানের মাসুদের আলাপচারিতায় প্রধান মূখ্য ভূমিকায় ছিলেন সজল। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মাসুদুজ্জামানের সমর্থনে সমাবেশে মহানগর বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে গোপনীয়তা কাজ করছেন মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।



-20251126171839.jpg)




































আপনার মতামত লিখুন :