নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একই স্থান ও একই সময়ে বিএনপির দু'গ্রুপের দুটি কর্মসূচি পালনের উদ্যোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
২২ নভেম্বর শনিবার দলটির দুই পক্ষ উপজেলার কাঁচপুর বালুর মাঠে পৃথক কর্মসূচি আয়োজনের বিষয়ে প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, শনিবার দুপুর ২টায় কাঁচপুর বালুর মাঠে মনোনয়ন-বঞ্চিতদের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে ২০ নভেম্বর প্রশাসন বরাবর চিঠি দেন সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মো.পনির হোসেন। এই নেতা সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো চিঠিতে কর্মসূচি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চান।
মনোনয়ন-বঞ্চিতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম, সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহা-পরিচালক বিএনপি নেতা ওয়ালিউর রহমান আপেল, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিক।
অপরদিকে, মনোনয়ন বঞ্চিতদের প্রোগ্রামের মাত্র এক ঘণ্টা পর বিকেল ৩টায় একই স্থানে ‘আলোচনা সভা’ আয়োজনের অনুমতি চেয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. আজহারুল ইসলাম মান্নান।
২১ নভেম্বর এ অনুমতি চাওয়া হয়। তিনিও সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে জমা দেওয়া কাগজে উল্লেখ করেন, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এটি নির্বাচনী প্রচারণাও।
একই মাঠে একই দিনে দুই পক্ষের পৃথক কর্মসূচির আবেদনে স্থানীয় রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপির একাংশ বলছে,দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখা দিয়েছে এই পরিস্থিতি তারই বহিঃপ্রকাশ। তাদের মতে, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপিতে নেতৃত্বসংক্রান্ত টানাপোড়েন এবং সমন্বয়হীনতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
অপরদিকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কাও করছেন সাধারণ মানুষ। তবে, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন,পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বক্তব্যের জন্য সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা রহমানকে ফোন দেওয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, কর্মসূচি সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করা হতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা আমরা জারি করতে পারি না এটা প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসন করতে পারবে।








































আপনার মতামত লিখুন :