বন্দরে (১৪) বছরের এক কিশোরী এক বাস যাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর দিনমজুর পিতা বাদী হয়ে মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর দুপুরে বাসের হেলপারসহ ২ জনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৩৫(১১)২৫।
এর আগে গত শনিবার ২২ নভেম্বর রাত দেড়টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের চৈরারবাড়িস্থ আলআমিনের বসত ঘরে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ২১ নভেম্বর বাদীর কন্যা সোনারগাঁ বাদী খালার বাড়ি থেকে বাদীর মায়ের বাসা ঢাকা কেরানীগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা হয়। পরে বাদী মেয়ে মোগড়াপাড়া থেকে বাসে উঠলে উক্ত বাসের হেলপার রানা সাথে পরিচয় হয়। পরে বাদী মেয়ে কেরানীগঞ্জ যাওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ি এলাকায় নামতে চাইলে ওই সময় বন্দর থানার চৈরারবাড়ি এলাকার আবুল মিয়ার লম্পট ছেলে হেলপার রানা উল্লেখিত কিশোরী যাত্রীকে বাস থেকে নামতে বাধা প্রদান করে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একই তারিখ রাত ১১টায় বন্দর থানার চৈরারবাড়ি ২নং বিবাদী আল আমিনের বসত ঘরে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে শনিবার ২২ নভেম্বর রাত দেড়টায় ১নং বিবাদী হেলপার রানা বাদীর কিশোরী মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয়। ওই সময় কিশোরী কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অজ্ঞাত বিবাদীরা কিশোরীকে ঝাপটিয়ে ধরে তখন লম্পট হেলপার বাদী মেয়ের পরিহিত জামা কাপড় খুলে বাদী মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ওই সময় লম্পট আল আমিন বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পাহাড়া দেয়। পরে ধর্ষক ও তার সহয়তাকারী চলে গেলে ওই সুযোগে ধর্ষিতা কিশোরী ছাড়া পেয়ে জনৈক আজাহার মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান,এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষক ও ধর্ষনের সহয়তাকারিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।








































আপনার মতামত লিখুন :