News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জ শহরের যেসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম নারায়ণগঞ্জ শহরের যেসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

বেশ বড় ধরনের একটি ভূমিকম্প ঘটলে ঠিক কি পরিস্থিতি হবে ঘণবসতিপূর্ণ নারায়ণগঞ্জ শহরে? শুক্রবার এমন প্রশ্ন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ঘুরপাক হচ্ছে নগরবাসীর মনে। বিশেষ করে এদিন সকালে তীব্র ভূমিকম্পের পর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বিশ্লেষকেরা।

রাজধানী ঢাকার পাশে ঘনবসতি ও গুরুত্বপূর্ণ শহর নারায়ণঞ্জ। কাজের সূত্রে এই শহরে স্থানীয়দের চাইতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বাসিন্দাদের সংখ্যা উল্লেখজনক হারে বেশী। ফলে আবাসনের চাহিদা মেটাতে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। অধিকাংশ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মিত হলেও বড় একটি অংশ গড়ে উঠেছে নিয়ম নীতি না মেনে। ফলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলেই ধ্বসে পড়তে পারে এসব ভবন। একই সাথে ভবনে বসবাস করা বাসিন্দারা থাকবেন জীবন ঝুঁকিতে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকাধীন ২৭টি ওয়ার্ডে অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে সার্ভে করেছে নাসিকের স্থাপত্য বিভাগ। ২০১৮ সালের সার্ভে অনুযায়ী শহরে ৪১ টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সেই তালিকা থেকে কমেছে মাত্র চারটি ভবন। অর্থ্যাৎ এখনও ৩৭ টি ভবন ঝুঁকির মধ্যেই থেকে গেছে। বাড়িওয়ালাদের গাফলতি, মামলা জনিত সমস্যা এবং আইনি জটিলতার কারনে ঝুঁকিতেই থেকে গেছে ভবনগুলো।

ইতোপূর্বে তালিকা করা উল্লেখিত ৪১ টি ভবন হচ্ছে, টানবাজার এলাকার ৪৭ মহিম গাঙ্গুলী সড়কের সাইদুর রহমান ইদুর ভবন, ২১ এম মালেহ রোডের এমদাদুল হক ভুঁইয়ার ভবন, টানবাজার ৩ নং মথুয়া রায় রোডের দস্তগীর আহমেদের ভবন, ৩৪ মহিম গাঙ্গুলী সড়কের সাধনা ঔষধালয়, ৫ এম মালেহ রোডের সানাউল্লাহর ভবন, ১৬ এম এম রায় রোডের আবুল কাশেমের ভবন, ৩৭ এম মালেহ রোডের ফাতেমা বেগমের ভবন, ৩৩ মহিম গাংগুলি সড়কের মোহাম্মদ আলীর ভবন, ৩৫ মহিম গাংগুলি সড়কের এইচ এম ইউসুফের ভবন, এসএম মালেহ রোডের অতিঃজেলা প্রশাসকের ভবন, এসএম মালেহ রোডের মোমেনা খাতুনের ভবন, ২১ এসএম মালেহ রোডের শাহান ভুঁইয়ার ভবন, ২০ এসএম মালেহ রোডের হাজী ছাত্তার ভূইয়ার ভবন, ৩০ মহিম গাংগুলি রোডের সালাম আসলাম মাসুম গং এর ভবন, মীনা বাজার এলাকার লোকমান হাজীর ভবন।

নিতাইগঞ্জ এলাকার আর কে দাস রোডের ইলিয়াস দেওয়ানের ভবন, ২৬৩ বিকে রোডের রহিম ভুঁইয়ার ভবন, ৩০ বিকে রোডের আবুল কাইয়ুম গং এর ভবন, শাহসুজা রোডের একেএম লুৎফরের ভবন, ওল্ড ব্যাংক রোডের মাইনুদ্দিনের ভবন, একই রোডের আবুল কাইয়ুমের ভবন, একই রোডের দুলাল রায়ের ভবন।

দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার ৩৬৭/২ ফরিদ আহম্মেদের ভবন, ২৫৮/১ সামসুজ্জোহার ভবন, ২৬৮/১এ তাহমিনা খাতুনের ভবন, ২৫৮/১ সি কামরুননেসার ভবন, উম্মে কুলসুমের ভবন, ৩৬৮/এ জাহানারা বেগমের ভবন, ২৫৮/১ বি রহিমা খাতুনের ভবন, ২৫৮/১ ডি সাহেরা খাতুনের ভবন, ৩৬৮/৬ নাসির মিয়ার ভবন।

বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত ১০৮ জিয়াউল হকের ভবন, ১০৪ খাজা নাজমুল হুদা খন্দকারের ভবন। তামাকপট্টি এলাকার শহীদ নগরের মহিউদ্দিন বেপারী গং এর ভবন, সুলতান গিয়াস উদ্দিনের রোডের অজিত রায়ের ভবন।

এছাড়া নিউ চাষাঢ়া এলাকার আলী ইমামের ভবন, গলাচিপা মোড়ের স্কাউট ভবন, কলেজ রোডের ছালেনুর রহমানের ভবন, সনাতন পাল লেনের আঃ ছোবাহানের ভবন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী রোডের আলতাফ উদ্দিন আহমেদ খন্দকারের ভবন, নয়ামাটি এলাকার হিমাংশু কুমার সাহার ভবন।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, বেশ কিছু ভবনের মালিক একাধিক ব্যক্তি। ফলে দুই একজনকে পাওয়া গেলেও বাকি অনেক মালিকের সন্ধান মেলে না। এছাড়া অভিযান চালানোর সময় গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সবসময় সহযোগীতা পাওয়া যায়না। এই ধরণের একাধিক জটিলতার কারনে ঝুঁকিপূর্ন ভবন নিয়ে কাজ করতে বেগ পেতে হয়।'

Islam's Group