দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে শহরের চাষাঢ়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রুটের প্রবেশ মুখে অবস্থিত রাইফেল ক্লাবটি ভেঙে রাস্তা প্রশস্ত করার দাবি করে আসছিলো নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মহল। গত ৫ আগস্টের পর এই রাইফেল ক্লাবটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল। এখন নতুন করে রাইফেল ক্লাবের স্থানটি সিএনজি স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
চাষাঢ়া-সাইনবোর্ড পর্যন্ত চলাচলকারী সিএনজিগুলো এখন রাইফেল ক্লাবের ভেতরে ফাঁকা জায়গা তাদের সিএনজি স্ট্যান্ড করে রাখছেন। এমন একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত এই ক্লাবকে এক সময় নারায়ণগঞ্জ নিয়ন্ত্রণের অঘোষিত আতুরঘর ভাবা হতো। এখানে বসেই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, শামীম ওসমানের সাঙ্গপাঙ্গরা। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার ১৬ বছর এই ক্লাবটির দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাতেও সাহস করেনি। নারায়ণগঞ্জে নিয়ন্ত্রণের সেই আতুরঘর সরকার পতনের আগের দিন এবং সরকার পতনের দিন দুই দফায় বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। বর্তমানে সেই ক্লাবের ভবনটি পরিত্যক্ত এবং ক্লাবের প্রাঙ্গণ আবর্জনার স্তুপ ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময় ৪ আগস্ট ক্লাবের ভবনে শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমান বিশাল ফ্যাস্টুন দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা প্রথমে অয়ন ওসমানের ফ্যাস্টুন ছিড়ে ফেলে। পরে একে একে ক্লাবের প্রধান ফটক ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে। এদিন তারা ক্লাবের বোল্ড ভাঙ্গার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরদিন ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে আবারো বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা রাইফেল ক্লাবে হানা দেয়। এদিন তারা বোল্ড ভেঙ্গে অস্ত্রাগারে থাকা অস্ত্র গুলি লুট করে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পুরো ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবটি। ধীরে ধীরে এক সময়কার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু রাইফেল ক্লাব ময়লা আবর্জনার ডাস্টবিনে পরিণত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :