News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২

স্বতন্ত্র মাকসুদে বিএনপি-জামায়াত চিন্তিত!


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম স্বতন্ত্র মাকসুদে বিএনপি-জামায়াত চিন্তিত!

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগেই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ঘোষিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেনকে মুখ খুলেছেন বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা হতাহত মামলায় আসামী হয়েও জামিন নিয়ে হতাশ প্রকাশ করে গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছেন মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান। একই সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী বন্দরে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার। জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এমন আলোচনা রীতিমত আবারো আলোচনা ফিরে এসেছেন বন্দরের আলোচিত মাকসুদ হোসেন ওরফে মাকসুদ চেয়ারম্যান।

ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার আমলেও এই মাকসুদ হোসেনকে নিয়ে তুমুল আলোচনায় ছিলেন জাতীয় পার্টির এই আসনের এমপি সেলিম ওসমান। তাদের রক্তচক্ষু অপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় ছিলেন মাকসুদ হোসেন। ওই সময়ে জাতীয় পার্টির এমপি ফাঁদে পদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েই গ্রেপ্তার ও কারাগারে ছিলেন মাকসুদ। দায়িত্ব নেয়া মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে অন্তবর্তী সরকারে প্রজ্ঞাপনে বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয় মাকসুদ হোসেনকে।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মাকসুদ হোসেন নিয়ে বিরূপ মন্তব্যে করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ, বিএনপি মহানগরের সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহবায়ক ফতেহ মোঃ রেজা রিপন, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও বন্দর উপজেলা বিএনপি সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ। মাকসুদ হোসেনকে ইঙ্গিত করে বলেন, কৃষি জমি কেটে ইটখোলা নির্মাণ, গ্যাসের নামে অর্থ আত্মসাত, জমি সম্পত্তি দখল ও বাবা-ছেলে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তুমুল সমালোচনা করা হয়।

১৪ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মাকসুদ হোসেনকে নিয়ে তুমুল সমালোচনা করেছেন মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেছেন, আমি নাম নিতে চাই না। বন্দরের একজন লোক, যিনি প্রার্থী হয়েছেন। তিনি স্বৈরাচারের দোসর। ওনার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে বৈষম্যের কয়েকটা মামলাও হয়, তার কীভাবে জামিন হইলো সেটা আমরা জানি না। সে এজাহারনামীয় আসামি, জেলে ছিল। বর্তমানেও তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ থানা ও যাত্রাবাড়ি থানাসহ বিভিন্ন থানায় সুনির্দিষ্ট মামলা রয়েছে। অথচ সে গ্রেপ্তার হয় না, সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনো এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় নাই বা এমন কোন এমবার্গো (নিষেধাজ্ঞা) দেওয়া হয় নাই। তাদেরকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, এই নারায়ণগঞ্জের মানুষ সেটা জানতে চায়। স্বৈরাচারের দোসররা আজকে বিভিন্ন নামে-বেনামে নির্বাচন করার পায়তারা করছে। সেই পায়তারার ক্ষেত্রে প্রশাসন কী করছে, প্রশাসনের ভূমিকাটা কী, সেটা কিন্তু জনগণের কাছে কিছুটা হলেও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, অনেক গডফাদার যারা নারায়ণগঞ্জকে পূর্বে শাসন করেছে। তারা এখনো নারায়ণগঞ্জে ঘুরে বেড়ায়, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা-বাণিজ্য করে, তাদেরকে কেন গ্রেপ্তার করা হয় না? সেইটা কিন্তু এখন জনগণকে ভাবিয়ে তুলেছে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও কিন্তু ভাবিয়ে তুলেছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ‘নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা’ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত পরশুদিন ঢাকাতে যে দুর্ঘটনা; নারায়ণগঞ্জেও ওই গডফাদাররা, ওই দোসররা এ ধরনের কাজ যে করবে না, সেটা কিন্তু আমরা বলতে পারি না।

অন্যদিকে শহর-বন্দর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাকসুদ হোসেনকে ইঙ্গিত করে সমালোচনা করেছেন জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার। তিনি অভিযোগ করেন, বন্দরে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে ওই প্রার্থী এলাকায় গিয়ে বলছে আমরা অমুকের লোক, তোমরা বের হলে খবর আছে। বিগত ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত লোকেরা কীভাবে ও কোন সাহসে এলাকায় এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখায়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা প্রত্যাশা করি প্রশাসন বিষয়গুলো খোঁজখবর রাখবেন কারা এসব করছে, কার হাত কতটা লম্বা। তবে এ দেশের মানুষ এবং আমরা যারা রাজনীতি ও সামাজিক কাজে যুক্ত, তারা এ ধরনের হুমকিতে ভয় পাবে না।

Ad Placement 1
Ad Placement 2
Islam's Group