News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারি, ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২

বহিষ্কার আতঙ্কে আঙ্গুর-রেজাউল


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম বহিষ্কার আতঙ্কে আঙ্গুর-রেজাউল

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন বহিষ্কার হয়েছেন দল থেকে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দল থেকে বহিষ্কার হবার মত কালিমা লেপন করেছেন। একই পথ অনুসরন করেছেন বিএনপির সাবেক মনোনীত প্রার্থী শাহ আলম। যদিও শাহ আলম দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে চলেছেন। বহিস্কার হবার মধ্য দিয়ে তার নেতাকর্মীরা অনেকটাই চুপসে গেছেন।

সূত্র বলছে, গিয়াস উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ ৩ এবং নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে দলীয় মনোনয়নের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। সেই সাথে এবার বিএনপির মনোনয়ন গিভ এন্ড টেক এর বিনিময়ে হয়েছে এমন মন্তব্য করে নিজ দলেরই সমালোচনা করেন। এনিয়ে শোকজ পেতে পারেন এমন ধারনা করছিলেন অনেকেই। তবে সেই ধারনা সত্য হয়েছে বহিস্কারাদেশ পাওয়ার মধ্য দিয়ে। 

একই ভাবে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে জোট মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে দাঁড়িয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী শাহ আলম। শাহ আলম ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে সক্রিয় হয়ে উঠেন। পুরো ৪ আসন এলাকায় ব্যাপক পোস্টারিং করেছেন তিনি। তবে দল থেকে তো মনোনয়ন পাননি, সেই সাথে এবার হারিয়েছেন দলের পদ। যা নিয়ে হতাশ তার নেতাকর্মী ও অনুসারীরা।

বহিষ্কার না হলেও এবার বহিস্কার আতংকে আছেন স্বতন্ত্র পদে লড়াই করতে নামা আরও দুই সাবেক সংসদ সদস্য। নারায়ণগঞ্জ ২ আসন তথা আড়াইহাজারে নজরুল ইসলাম আজাদের বিপক্ষে স্বতন্ত্র মনোনয়ন দাখিল করেছেন সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার উপর ভর করেই নেমেছেন নির্বাচনে। একই কাজ করেছেন সাবেক এমপি ও বিএনপি সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম। তিনিও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনে। 

এমন অবস্থায় গুঞ্জন উঠেছে, এই দুজন প্রার্থীও কি মনোনয়ন জমা দেয়ার কারনে বহিষ্কার হবেন? বার্ধক্যে এসে রাজনীতি থেকে বিদায় নিবেন অসম্মানিত হয়ে? নাকি কেন্দ্র থেকে আপোষের মাধ্যমে সরে যাবেন দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে। যদিও গিয়াস এবং শাহ আলমের বহিষ্কারাদেশের পর আতঙ্ক বিরাজ করছেন আঙ্গুর ও রেজাউল অনুসারীদের মাঝে। কারন নেতা বহিষ্কার হয়ে গেলে কর্মীরা পড়বেন বিপাকে। চাইলেও অন্যত্র যোগ দিতে পারবেন না সহসাই। যা তাদের জন্য এখন দুশ্চিন্তার কারন।

বিএনপির নেতারা বলছেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে এমন পরিণতি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। দলের স্বার্থে এবং নির্বাচনের প্রশ্নে আপোষ করতে নারাজ কেন্দ্র। যেখানে রুমিন ফারহানার মত গুরুত্বপূর্ন নেত্রী দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন, সেখানে ভিন্ন কোন পরিচয়ে বাকিরা ছাড় পাবেন এমন ভাবার সুযোগ নেই বললেই চলে।’

Ad Placement 1
Ad Placement 2
Islam's Group