নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল খন্দকার খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের পুরানো সীমানার চেয়েছেন। ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪, ৫ আসনে শুনানি শেষে তিনি এ আহবান রাখেন।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে বন্দর উপজেলাকে নারায়ণগঞ্জ-৩ ও গোগনগর এবং আলীরটেক ইউনিয়নকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত করে আসন পুনর্বিন্যাস করে সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশন। পরে স্থানীয়রা এর আপত্তি জানায়। এর প্রেক্ষিতে ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
খোরশেদ বলেন, এখানে আমি প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলাম। আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে পাঁচটি ইউনিয়নকে কেটে সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ-৩) আসনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মানুষ রাজনৈতিক, সামাজিক ও ভৌগোলিকভাবে বঞ্চনার শিকার হয়েছে। সেই বঞ্চনার কথা কমিশনকে আমি জানিয়েছি।
তিনি বলেন, একটা বিরাট অংশ যদি বিভক্ত হয়ে সোনারগাঁওয়ের সঙ্গে চলে যায়, আমরা এতদিনে যেই নেতাকর্মী তৈরি করেছি তাদের মধ্যে অনেকে প্রার্থী আছে, আমরা সবাই বঞ্চিত হবো। সবচেয়ে বড় কথা নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নকে কেটে নেওয়া হচ্ছে। ফলে যে প্রশাসনিক অখন্ডতার কথা বলা হয়েছে সেই অখন্ডকার বিষয়টা পুরোপুরি লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করি অবশ্যই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তারা আমাদের দাবি পুনর্বিবেচনা করবে। নতুবা আমরা মনে করি আগামী কাঙ্খিত নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে এ ধরনের উদ্ভত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। যেখানে আমরা মনে করি যে এগুলো হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট করলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :