ফরিদপুরের ভাঙ্গার আদলে নারায়ণগঞ্জে ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বন্ধের জন্য এলাকাবাসীকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় ভ‚মিদস্যুরা। এলাকাবাসীকে ভুল বুঝিয়ে ক্ষেপিয়ে তুলছেন। ওই মহলটির ভয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানেরকর্মীরা সরেজমিনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে না।
‘ঢাকা ইস্ট ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পের সম্ভাব্য রুটের তথ্য সংগ্রহের কাজ গত এক মাস যাবত চলছিল নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন অংশে। প্রকল্পটির সম্ভাব্য যে রুট নির্ধারণ করা হয়েছে তার বড় একটি অংশ জালকুড়ি মৌজায়। এছাড়া কুতুবপুর ও শিয়াচর মৌজার অনেক জমি পড়েছে প্রকল্পের মধ্যে।
জালকুড়ি মৌজায় প্রতি শতাংশ নাল জমির ম‚ল্য ৫ লাখ ২২ হাজার, কুতুবপুরে ৮ লাখ ৭৩ হাজার, আর শিয়াচরে ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। অধিগ্রহণ আইন ২০১৭ অনুযায়ী, ৩ গুন ম‚ল্য দেওয়া হলে জালকুড়িতে ১৫ লাখ ৬৬ হাজার, কুতুপুরে ২৫ লাখ ও শিয়ারচরে ১৮ লাখ করে টাকা করে পাওয়ার কথা। কিন্তু শিল্প অধ্যুষিত নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি, কুতুবপুর ও শিয়ারচরে প্রতি শতাংশ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা শতাংশ।
অধিগ্রহণের পর আশপাশের এলাকায় জমির ম‚ল্য আরও বাড়বে, জমি অধিগ্রহণের পর ক্ষতিপ‚রণের টাকা দিয়ে পুনারায় জমি কেনা সম্ভব নয়; এমন আশঙ্কা থেকে অনেকেই জমি দিতে আগ্রহ হারাচ্ছে। আবার এক শ্রেণির লোক অন্যের জমি দখল করে আছে, অধিগ্রহণ হলে দখলকৃত জমির টাকা উত্তোলন করতে পারবে না; তারাও প্রকল্পেটির বিরোধীতা করছে।
বিভিন্ন স্থানে জমি দখল করে রাখা মহলটি গত ২২ আগস্ট দুপুরে এলাকাবাসীকে উস্কে দিতে আলোচনা করেছেন। সেখানে কিছু সংখ্যক মানুষের মতামত নিয়ে প্রকল্পটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জমি অধিগ্রহণে বাধা দিতে তারা বড় আন্দোলন গড়তে চাইছেন।
ইতোমধ্যেই মহলটি অনেক মানুষের কাছ থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। তাদের কাগজে স্বাক্ষর দিয়েছে আলী আকবার নামের একজন। তিনি জানান, অধিগ্রহণে টাকা বেশি তুলে দেওয়ার কথা বলে স্বাক্ষর নিয়েছে মহলটি।
প্রকল্পের সমীক্ষা করতে আসা মাহবুব ও আল-আমিন বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কিছু পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কিন্তু দেশের প‚র্ব ও পশ্চিম অঞ্চলকে একত্রিত করবে। পদ্মা সেতুতে যেতে নারায়ণগঞ্জসহ চট্টগ্রাম-সিলেট অঞ্চলের মানুষকে ঢাকায় প্রবেশ করতে হবে না। নান্দনিক ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ হলে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বও বাড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :