হামলা মামলা ও ডিবি পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি সহ ভয়ভীতি হুমকি ধমকিতে আতংকের নির্বাচনে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচন। আগামী ২৮ আগস্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
সভাপতি প্রার্থী রেজাউল করিম খান রেজা ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী এসএম গালিবের নেতৃত্বে বিএনপির বিদ্রোহী প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী আনিসুর রহমান মোল্লা, আপ্যায়ণ সম্পাদক প্রার্থী শাহআলম শামীম ও কার্যকরী সদস্য প্রার্থী আব্দুর রব অব্যাহত চাপে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আরেক স্বতন্ত্র সহ-সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ আলী নির্বাচনী প্রচারণাই চালাতে পারছেন না। তিনি কোর্টপাড়ায় বিচরণ করতে পারছেন না। নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাপের শিকার হচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান মাসুদকে জোরপ‚র্বক নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়।
এছাড়াও সভাপতি প্রার্থী হাফিজ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাঈন উদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে জামায়াত ইসলামীর প্যানেলের আইনজীবীরাও হুমকি ধমকি ও প্রচারণায় বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। পিতা হাফিজ মোল্লার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করায় তার ছেলে আইনজীবী আদনান মোল্লাকে থেকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জামায়াতের নিজস্ব অফিসে গিয়ে জামাতের আইনজীবীদের প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করেছেন। কোর্টপাড়ায় সরকার হুমায়ুন কবির ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতের প্যানেল ১’শ ভোটের বেশি পেলে তার জন্য দায়ী থাকবে আওয়ামীলীগের আইনজীবীরা।
নির্বাচনের পর ডিবি পুলিশের হাতে আওয়ামীলীগের দেড়’শ আইনজীবীর তালিকা দেয়া হবে বলেও তিনি হুমকি প্রদান করেছেন কেউ কেউ।
বিএনপির আইনজীবীরা প্রতিটা অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিচ্ছেন যে, যেভাবেই হোক সভাপতি প্রার্থী সরকার হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে বিএনপির পূর্ণ প্যানেলকে বিজয়ী করা হবে। ইতোমধ্যে বিএনপির বিদ্রোহী প্যানেলের দুই প্রার্থী রেজা খান ও গালিব সহ সহযোগীতার অভিযোগে কামাল হোসেন মোল্লাকে আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অব্যাহতির পরেও যখন তারা নির্বাচন থেকে সরছেন তখন ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতারা এসে বিএনপির বিদ্রোহী প্যানেলের প্রার্থীদের চাপ সৃষ্টি করেছেন নির্বাচন থেকে সরে যেতে। বর্তমানে বিএনপির বিদ্রোহী প্যানেলের ১১ জন আইনজীবী নিয়মিত ভোট প্রার্থনা করছেন এবং নির্বাচনী সকল ধরণের প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন এত্তসব বাধা ও হুমকি ধমকির পরেও। দেখার বিষয় কি ঘটতে যাচ্ছে আগামী ২৮ আগস্ট আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে।
আপনার মতামত লিখুন :