রাজধানীর গুলিস্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল করে আটক হয়েছে বেশ কয়েকজন। তবে গুলিস্থানের মত জনবহুল এলাকায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী নিয়ে মিছিলের নেপথ্যে উঠে এসেছে নারায়ণগঞ্জ থেকে আওয়ামী নেতাকর্মী যুক্ত হবার কারণ। ফতুল্লা ও বন্দরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অনুসারীরা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এই মিছিল সংগঠিত করেছে। যার পেছনে রয়েছে দুই কুখ্যাত যুবলীগ সন্ত্রাসী মির হোসেন মিরু ও খান মাসুদ।
২৪ আগস্ট রোববার গুলিস্থানে ঝটিকা মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিন গেট থেকে মিছিলটি নিয়ে অলিম্পিক ভবনের সামনে পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যায় তারা। পরে পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এসময় কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে বন্দরের যুবলীগ নেতা খান মাসুদের অনুসারী আটক হবার খবর পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও বন্দর থানার বেশ কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় গিয়ে এই মিছিল করে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, তার ভাই আব্দুল মালেক, মীর হোসেন মিরুর ভাগ্নে কিলার শাকিল, রাজিব, মিরুর ক্যাডার রিক্সা মালেক, মোকতার, আতিকুল ইসলাম খোকন, আকতার, কানা জাকির, খবি, পিন্টু, মোহন, শাহ নিজামের ক্যাডার ফারুক। এছাড়া খান মাসুদের অনুসারী রাজু আটক হয়েছে মিছিল থেকে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের সূত্র জানায়, ফতুল্লা ও বন্দরের নেতাকর্মীরাই এই মিছিল বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছে। সকাল থেকে বাসে করে ঢাকায় গিয়ে অবস্থান করছিলো গুলিস্থান এলাকায়। এরপর সময় সুযোগমত তারা বেরিয়ে এসে মিছিল সংগঠিত করে। এর আগে তারা টেলিগ্রাম গ্রæপের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে সংগঠিত হচ্ছিলো। যা কিছুদিন পূর্বে ফাঁস হলে আলোচনার জন্ম দেয়। সেই আলোচনা ফাঁস হবার পরেও তেমন কাউকে গ্রেপ্তার বা আইনের আওতায় আসতে দেখা যায়নি। ফলে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি সংগঠিত হয়ে পরিকল্পনা মাফিক মিছিল বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছে মিরু ও খান মাসুদের অনুসারীরা।
রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ থেকে সংগঠিত হয়ে ঢাকায় গিয়ে মিছিল করতে পেরেছে। অথচ পুলিশের ভুমিকা এক্ষেত্রে চরম প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের গোয়েন্দা রিপোর্টও দুর্বল।
এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে, আগামীদিনে এই অবস্থা চলতে থাকলে বড় ধরনের নাশকতা চালিয়ে নিতে পারবে তারা। যা দেশের আইন শৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ। অবিলম্বে মিরু ও খান মাসুদ সহ তাদের অনুসারীদের আইনের আওতায় আনা জরুরী। অন্যথায় তাদের অনুসারীরা আরও বড় ধরনের নাশকতামূলক কর্মকান্ড করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :