বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মনোয়ার হোসেন ও তার বোন ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য লাভলী বেগম এবং তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় তাদেরকে আওয়ামী লীগ ও ওসমানদের দোসর আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে বিচার দাবি করেন।
মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর দুপুর ১২টায় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে উক্ত মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বন্দর প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, তাওলাদ কেমন মানুষ তারা মুছাপুরবাসী জানেন। যারা তাকে মাদক ব্যবসায়ী সহ নানা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মানববন্ধন করেছে তাদেরকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় অতীতে তারা কি ছিল আমরা তাদের সকল কিছু তুলে ধরবো।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপি নেতা তাওলাদ হোসেন বলেন, এই লাভলী মেম্বার, মনোয়ার মেম্বার, তার ভাই দেলোয়ার, ইকবাল এরা জাতীয় পার্টি করলেও গত ১৭ বছর ছিল জাতীয় লীগ। তারা ওসমানদের দোসর। তারা ভূমিদস্যু। মুছাপুরে যেদিকে যাবেন সেদিকেই তাদের নামে সাইনবোর্ড।
তিনি বলেন, মুছাপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনজুর হোসেনের দেওয়া একটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দেওয়া নিয়ে এই ঝামেলার শুরু। আমি মনজুকে বলেছিলাম আপনি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে যে বাণিজ্য করেছেন কিন্তু ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দিয়ে বাণিজ্য কইরেন না। ওই সার্টিফিকেট বিষয়ে আমার ভাগিনা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলায় হয়ে যা সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। এটি নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমার ইমেজ নষ্ট করতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তারা ভূমিদস্যু, মাদকের ডিলার কোটি কোটি টাকার মালিক। তারা যুবদলের সভাপতি জাহিদ হাসান পাপ্পু, মুছাপুরের মূল দলের সভাপতি তারা মিয়া তাদের জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ছিল। বিষয় পুলিশ নিয়ে তদন্ত করেছে। তাদেরকে মারধর করেছে। কৃষকদলের সেলিম কে মারধর করেছে। মারার পর তারা মানববন্ধন করে। তাদের একটি চক্র আছে। মহিলা গ্রুপ নিয়ে মানববন্ধন করে। এই আওয়ামী লীগ ও ওসমান পরিবারে দোসর এদের বিচার চাই।
তিনি বলেন শাসনেরবাগ থেকে বাজুরবাগ হয়ে বালিগাঁও একটি ৬ ফিটের গ্যাস লাইন গেছে। সেখানে তারা মাটি কেটেছে ৭০ থেকে ৮০ ফুট। যেখানে এখন পানি জমে আছে। এই বাইন্নার বিলের পানি সেচতে গেলে যেকোন মুহূর্তে গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। যে পানি সেচার চেষ্টা তারা করছে। আমি বিএনপি দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ রাখছি তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী মামলা রয়েছে কিন্তু পুলিশ তাদের ধরছে না। তাদেরকে হয়তো বিএনপির দুইএকজন লোক আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।








































আপনার মতামত লিখুন :