বন্দরের মদনপুরে চাকরি দেওয়ার নাম করে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি ডালিম (৪৭)কে গ্রেপ্তার করেছে।
সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর সিপিএসসি ও র্যাব-৪ এর সদর কোম্পানি ৭ ডিসেম্বর রোববার দুপুর ২টায় যৌথ অভিযানে ঢাকার দারুস সালাম থানার লালকুঠি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি ডালিম সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক নিমাই কাসারী এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব-১১ সিপিএসসি এর কোম্পানি কমান্ডার মো. নাঈম উল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ২৭ নভেম্বর চিটাগাং রোড ওভার ব্রিজের নিচে মো. ডালিম (৩৭) এর সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। তখন ভিকটিমকে মো. ডালিম একটি চাকরি দিবে বলে জানায়। গত ১ ডিসেম্বর ভিকটিমকে উক্ত চাকরির জন্য মদনপুর বাসস্ট্যান্ড যেতে বলে। ভিকটিম গত ২ ডিবেম্বর সকাল ১০টায় বন্দর থানাধীন মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে মো. ডালিম এর কথা মত এসে পৌঁছালে সে ভিকটিমকে মারুফ নামে একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। তখন মারুফ ভিকটিমকে চাকরির ইন্টারভিউয়ের কথা বলে মদনপুরে একটি গেস্ট হাউজে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে মো. ডালিম ও মারুফ রুমে ডুকে ভিকটিমকে উজ্জল (৪৮) এর সাথে স্যার বলে পরিচয় করিয়ে দেয়। অতপর মো. ডালিম ভিকটিমকে ভালো বেতনের কথা বলে কুপ্রস্তাব দেয়। তখন ভিকটিম তার কথামত রাজি না হয়ে রুম থেকে বের হতে চাইলে মারুফ এবং উজ্জ্বলগণ ভিকটিমকে বাধা প্রদান করে এবং তাকে জিম্মি করে জরিয়ে ধরে খাটের উপর ফেলে দেয়। এরপর মো. ডালিম এবং মারুফ ভিকটিমকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের ডাক চিৎকার দিতে চাইলে তাকে ভয়ভীতি দেখায়। তারা ভিকটিমকে ধর্ষণ করার পরে উক্ত গেস্টহাউস থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিম বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনাটি ঘটার পরপরই বিভিন্ন টিভি এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।








































আপনার মতামত লিখুন :