নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া, কালিরবাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। এ সময় তারা বোরকা পরে বিভিন্ন বিপনী বিতানে আসা ক্রেতা ও ফুটপাতের পথচারীদের সাথে মিশে যান। এরপর কৌশলে মোবাইল ফোন, টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার চুরি করে নিমিষেই সেখান থেকে সটকে পড়েন। তবে অনেকে এই কাজ করতে গিয়ে ধরা খেয়ে শাস্তির মুখোমুখি হন।
ইতোমধ্যে একাধিক ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর একটিতে দেখা যায়, শহীদ মিনারের উত্তর দিকে সান্তনা মার্কেটের সামনে এক নারীর জামা শক্ত করে ধরে রেখেছেন আরো দুজন নারী। তারা বলছেন এই নারী মোবাইল চুরি করেছেন। তবে অভিযুক্ত নারী এটি অস্বীকার করে যাচ্ছেন। এ সময় উৎসুক জনতাকে চোর সন্দেহে আটকে রাখা ওই নারীর ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়। আরোকটি ভিডিওতে দেখা যায় চাষাঢ়ার একটি সড়কে ভীড়ের মধ্যে বোরকা পরা এক নারীকে ধরে মারধর করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধেও মোবাইল চুরির অভিযোগ। ওই নারীর সাথে আরো এক পুরুষ সহযোগীকেও মোবাইল চুরির অভিযোগে মারধর করতে দেখা যায়।
সায়াম প্লাজার সামনে পোশাক বিক্রেতা ইমরান হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে বলেন, এই এলাকায় যত চুরির ঘটনা ঘটে সব নারীরা করে। বিভিন্ন বেশ ধরে তারা মার্কেটে আসা নারীদের সাথে মিশে যান তারপর তাদের ক্ষতি করে চলে যান। এ সময় যারা ধরা পরে তাদের মারধর করে ছেড়ে দিলে কয়েকদিন পর তারাই আবার চুরি করতে আসে। ছুটির দিন শুক্রবার, শনিবার এবং ঈদসহ পূজা পার্বণের আগে যখন মার্কেটে ক্রেতাদের ভীড় বেশি থাকে তখন এমন ঘটনা বেশি ঘটে বলে জানান ইমরান হোসেন।
কালীর বাজারের শায়েস্তা খান রোডের এক হকার বলেন, আল্লার ত্রিশটা দিন ওরা চুরি করতে আইসা ধরা পরে। শুক্রবার, আর বৃহস্পতিবার মার্কেটে মানুষ বেশি আসে, তখন ওদের সংখ্যাও বেশি থাকে। ওদের সিন্ডিকেট আছে। চুরির পর যদি ধরা না পড়ে তাইলে ওদের যেই নেতা থাকে তাদের কাছে মোবাইল দিয়া কিছু টাকা পায়। সেই টাকা নিয়া পরে রেল স্টেশন, লঞ্চ ঘাটে গিয়া থাকে। যারা এই চুরির সাথে জড়িত বেশির ভাগই মনে করেন মহিলা।








































আপনার মতামত লিখুন :