মহা সম্মেলন আয়োজনের নাম করে জামায়াত বিরোধী প্রচারনা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারনা বাড়লেও দলটি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। দলের জেলা ও মহানগরের নেতারা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এসব বিভ্রান্তি ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের অংশ হিসেবেই জামায়াত বিরোধী প্রচারনায় যুক্ত হচ্ছে কেউ কেউ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা জানি, আমাদের জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম দেখে কেউ কেউ আতঙ্কিত। তাই গুজব ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু এসবের জবাব আমরা মাঠের কাজ দিয়েই দেব। আমাদের বিরুদ্ধে গত ৫৪ বছর ধরেই অপপ্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু তাতে জামায়াতের জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। বরং দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে সবাই জানে জামায়াত কি করে এবং তাদের কাজ কি। জামায়াত সব সময় মানুষের কল্যানমূলক কাজে নিয়োজিত ছিলো। বাকিরা মুখে কল্যানের কাজ করে, আমরা সেটা করে দেখাই। আর সেই কারনেই সাধারণ মানুষ মিথ্যা তথ্য এখন আর গ্রহণ করে না।’
গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জামায়াতের বিরুদ্ধে আয়োজিত সমাবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে তারা সাংগঠনিক পুনর্গঠন ও তৃণমূল পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নে মনোযোগী। সেই সাথে নির্বাচন নিয়ে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। নির্বাচনী লক্ষ্যে প্রতিপক্ষদের কেউ কেউ অপপ্রচার চালাতেই পারে। তবে এতে তারা কেউই নিরুৎসাহিত নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, আগামী জাতীয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় জামায়াতের অবস্থান নিয়েই নানা মহলে আলোচনা চলছে। এই প্রেক্ষাপটে দলটির কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এই সমালোচনা মোকাবেলাই করেই তারা রাজনীতি চালিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনে শক্ত প্রতিযোগীতা করতে প্রস্তুত দলটির প্রার্থীরা। এছাড়া একটি আসনে দফায় দফায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। এতেই বোঝা যায় জামায়াত এখন বিএনপি সহ অন্যান্য দলগুলোর মাথাব্যাথার কারন হয়ে উঠছে।
ছাত্র শিবিরের এক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগনের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন তারা। দলের সদস্য ও সমর্থকদের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারনার জবাব ধৈর্য্যের সাথে মোকাবেলা করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কোন ক্রমেই যেন অদায়িত্বশীল আচরণ না হয় সেই বার্তা দেয়া আছে।
তিনি আরও বলেন, যারা বর্তমানে জামায়াতকে নিয়ে নেতিবাচক কথাবার্তা বলছে তারা সকলেই জামায়াতের সাথে দীর্ঘদিন বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তারা ব্যক্তিগত স্বার্থে যেমন জামায়াতের বিরোধীতা করছে, তেমনি তাদের নিজস্ব স্বার্থের জন্য জামায়াতের কাছে ছুটেও আসে। ফলে ব্যক্তিত্বের পরিচয় ধরে রাখতেই কোন প্রকার উস্কানিতে জড়িয়ে না পড়তে নির্দেশনা দিয়ে রাখা হয়েছে। কোন ক্রমেই জামায়াত এবং শিবিরের নেতাকর্মীরা উস্কানিমূলক প্রচারনায় সাড়া দিবে না। উল্টো সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক আদর্শ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি চালিয়ে যাবে।








































আপনার মতামত লিখুন :