নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় একটি মামলার জের ধরে বাবা, মা ও শিশু সন্তানদের মারধরের ঘটনায় অবশেষে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। ২৮ অক্টোবর রাতে ওই মামলা রুজু হয়।
মামলায় সাখাওয়াত হোসেন খান (৫০) সহ অপর বিবাদীরা হলেন ইসমাইল (৪৬), হিরন (৩৮), শাহালম (৪৮), টিটু (৫০), রাসেল ব্যাপারি (৩৫), অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম (৪০), আলামিন শাহা (৩৯) এবং বিল্লাল হোসেন (৩৮)। এছাড়া মামলায় আরও ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রকাশ্যে রাজিয়া সুলতানা (৩৮) নামে নারীকে প্রকাশ্যে মারধর, শ্লীলতাহানি সহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। একই সাথে তাদের মারধরে রাজিয়া সুলতানার স্বামী মো. ইরফান মিয়া (৪২), তার ছেলে জিদান (১৭) ও শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ (৫) আহত হয়েছে। এই ঘটনার পরপর রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, গত দুইদিন ধরে থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কার্যালয়ে গিয়েও মামলা করা হয়নি। শুধুমাত্র মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নাম থাকার কারণে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। সাখাওয়াত হোসেন খানের নাম নিয়েই পুলিশের আপত্তি। পরে ২৮ অক্টোবর মামলাটি রুজু হয়।
ঘটনার বিবরণে রাজিয়া সুলতানা বলেন, আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তার জুনিয়ররা ও মুহুরী মিলে আমাদের উপর হামলা করে। তারা আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে এবং আমার শরীর ও লজ্জাস্থানে আঘাত করে শ্লীলতাহানি করে। আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে। আমার শিশু সন্তানকে মারধর করেছে।
মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা জানান, থানা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছে, মামলাটি নেয়া হয়েছে। আমরা থানা থেকে মামলার কপিটি সংগ্রহ করেছি। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।








































আপনার মতামত লিখুন :