News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২

জামায়াতকে ভোট দেয়া না জায়েজ


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম জামায়াতকে ভোট দেয়া না জায়েজ

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি জোট থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মুফতি মনির কাশেমী নতুন ফতোয়া জারি করেছেন। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহে আয়োজিত ‘আজমতে সাহাবা’ মহা সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। এই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

মুফতি কাসেমী জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন, ‘যেই ইবাদত, যেই ইসলাম সাহাবায়ে একরামদের সাথে মিলে সেই ইবাদত, সেই ইসলাম সহী। আর যেই ইবাদত যেই ইসলামের সাথে মিলে না, সেটা সহী না। যেই দলের নেতারা বলেন, পূজা আর রোজা এক। তাদেরকে বাংলাদেশের জনগন ঐ মার্কায়, ঐ দলকে ভোট দিতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ইমান যদি বাঁচাতে হয়, ঐ পাল্লা মার্কায় আমাদের দেশের জনগন ভোট দেয়া আস্থাশীল মনে করেনা। যারা দাড়ি টুপি রেখে মানুষকে ধোকা দেয়, সাহাবাদের থেকে দূরে টানে সেই দলকে ভোট দেয়া না জায়েজ।

তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারিত হবার পর তৈরী হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতের সহযোগীতাও নিয়েছিলেন এই নেতা। কিন্তু এবার বিএনপির বলয় থেকে বের হয়ে যাবার কারনে এমন মন্তব্য করাকে ভালো চোখে দেখছেন না অনেকেই। কারও কারও মতে, বিএনপিতে নিজের মনোনয়ন পোক্ত করতে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সন্তুষ্ট করতেই এই ফতোয়া জারি করেছেন মুফতি কাসেমী।

এর আগে, গত বছরের নভেম্বরেও হেফাজত ও জামায়াত ইসলামের নেতারা একসাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন। এক মঞ্চে বসে সভা সমাবেশ করেছেন। কিন্তু চলতি বছরের নভেম্বরে এসে জামায়াতকে কেবল সমালোচনাই নয়, জামায়াতকে ভোট দেয়া না জায়েজ বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। মুফতি কাসেমীর এমন বিপরীতমুখী আচরণ নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি হাস্যরস তৈরী হয়েছে।

আলেমদের একাংশ বলছেন, কাকে ভোট দেয়া জায়েজ বা না জায়েজ এই বিষয়ে মুফতি কাসেমী একা ফতোয়া জারি করতে পারেন না। কারন এই চর্চা শুরু হলে প্রত্যেক আলেমই পারবেন একেকজন একেক স্বার্থে ফতোয়া জারি করে দিতে। এতে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরী হয়। ফতোয়া জারির ক্ষেত্রে ধর্মীয় নিয়মাবলী রয়েছে। সেসবের পরোয়া না করে এভাবে ফতোয়া জারি করা কেবলই ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য। যা সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধি করা ব্যতিত কোন সুফল আসবে না।

Islam's Group