নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় জেলা পরিষদের লিজকৃত জায়গার ভাড়া উঠানো নিয়ে ছাত্রদল নামধারী লোকজনদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হট্টগোলের অভিযোগ উঠেছে। ২৭ অক্টোবর রাতে চাষাঢ়ায় রূপায়ন টাউনের সামনে ওই ঘটনা ঘটে।
উম্মে সালমা মুন্নী অভিযোগ করেন, তিনি চাষাঢ়া মৌজার এসএ খতিয়ান-০৬ এর দাগ নং ২৯, ৩০ ও ৩৪ এর জমিটি জেলা পরিষদ হতে ইজারা এনে বৈধভাবে দোকানঘর তুলে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি মহানগর ছাত্রদলের নেতা আজিজুল ইসলাম রাজীব ও তার লোকজন দোকানদারদেরকে আমাদের ভাড়া না দিতে শাসিয়ে দেন। ৩ মাস ধরে আমরা ভাড়া বঞ্চিত। পরে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে একটি আবেদনও করেছি। বিষয়টি আইনীভাবে চলছে।
মুন্নী বলেন, ‘সোমবার রাতে রাজীবের একদল লোকজন আবারও দোকানের সামনে এসে হৈ চৈ করতে থাকে। খবর পেয়ে আমি ও আমার মেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে উচ্চবাচ্য করে। তখন আমাদের আইনজীবী এসে ওই যুবকদের কাছে লিজের কাগজ চাইলে দেখাতে ব্যর্থ হন। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে গায়ে পড়ে এসে বিরোধ করতে চাচ্ছে। আমাদের শারীরিক লাঞ্ছিত করারও প্রয়াস চালায় কেউ কেউ।’
বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীকে অবহিত করা হয়েছে জানান মুন্নী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ সালে আমার স্বামী মাকসুদ হোসেনকে হত্যা করা হয়। সেটার বিচারও আমরা পাই নাই। স্বামীর মৃত্যুর পর আমি অসহায় পড়ে পরি। এ ভাড়ার টাকায় আমাদের সংসার চলে। আমি কোন রাজনীতিতে জড়িত না।
যদিও এর আগে একাধিক দোকান মালিক জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা চেয়েছেন।
তাদের দাবি, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছর পর্যন্ত উক্ত জমি জেলা পরিষদ কর্তৃক উম্মে সালমা মুন্নীর নামে লিজ থাকলেও বর্তমানে তা বাতিল হয়েছে এবং এ বিষয়ে কাউকে ভাড়া না দিতে জেলা পরিষদ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এ অবস্থায় দোকান মালিকরা ব্যবসা পরিচালনায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।








































আপনার মতামত লিখুন :