নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই আসন থেকে সম্ভাব্য মনোনয়ন পেতে পারেন জোটে থাকা জমিয়তে উলামায়ে নেতা মনির হোসেন কাশেমী। তার মনোনয়ন পাওয়া প্রায় নিশ্চিত হবার খবরে এই আসনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে জামায়াত এবং এনসিপি। অন্য আসনের চাইতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থী হওয়ায় এই আসনটি সহজেই পেয়ে যাবেন এমন ভাবনা অনেকের। আর সেই কারণেই জামায়াত এবং এনসিপি উভয়েই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নিজেদের প্রচার প্রচারণা কয়েকগুন বেশী চালাচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার। অন্যদিকে এনসিপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল আমিন। প্রচার প্রচারনার পাশাপাশি পুরো নির্বাচনী এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন, পোষ্টার সাটিয়েছেন। তবে সম্প্রতি দুই দলের প্রার্থীই নিজ নিজ ফেইসবুক একাউণ্ট থেকে তাদের ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন। যদিও কারা এই ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলছে তা স্পষ্ট করেননি।
গত ১৬ নভেম্বর জামায়াতের প্রার্থী আবদুল জব্বার তার নিজ একাউন্টে তার ছিঁড়ে ফেলা ফেস্টুনের ছবি দিয়ে লিখেন ‘ওদের হিংসা হেরে যাবে। আমাদের ভালোবাসা জিতে যাবে ইনশাআল্লাহ।’ অন্যদিকে বুধবার রাতে এনসিপির প্রার্থী আবদুল্লাহ আল আমিন তার ছেঁড়া ফেস্টুনের ছবি নিজ ফেইসবুকে প্রকাশ করে লিখেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড!’ যা দিয়ে মূলত তিনি নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অবস্থা কেমন তা বুঝিয়েছেন।
ছিঁড়ে ফেলা ফেস্টুনের বিষয়ে মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় শুধু ফেস্টুন নয়, ব্যানার, পোষ্টার সব ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। কে বা কারা করছে তা তো জানিনা। কিন্তু দেখি একটি দলের কারো ব্যানার ফেস্টুন ছেঁড়া হচ্ছে না। শুধু ছিঁড়ে যাচ্ছে আমারগুলো। একস্থানে ১০ টি পোষ্টার লাগালে পরদিন গিয়ে দেখি ৫ টাই ছেঁড়া। বাইরের কেউ এসে তো ছিঁড়ে দিয়ে যাচ্ছে না। এলাকার কেউ না কেউ এই কাজ করছে। তারপরেও আমরা অভুতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। এই ধরনের ছেঁড়া পোষ্টার, ছেঁড়া ব্যানার দেখে ভোটাররাও বুঝে আমাদের উপর জুলুম করা হচ্ছে। তখন তারা আরও বেশী সহনুভুতি প্রকাশ করে এবং আমাদের সমর্থন জানায়।’
নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়ে বলেন, এখনও তো বিএনপি মনোনয়ন চূড়ান্ত করেনি। চূড়ান্ত হবার পর দেখা যাবে। তবে পুলিশ যদি আরেকটু নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করতে পারে তাহলে অনেকটা স্বস্থি পাবে সকল দলের প্রার্থীরা। দিন যত যাবে তত বিষয়টি পরিস্কার হওয়া যাবে।
এনসিপির প্রার্থী আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘কোথাও আমার ব্যানার, ফেস্টুন রাখা যাচ্ছে না। লিংক রোডে একাধিক ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। চাষাঢ়া রাইফেলস ক্লাবের উপর অনেকগুলো ফেস্টুন থাকলেও কেবল আমারটা টার্গেট করে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। পাড়ামহল্লায় লাগানো ফেস্টুনগুলো নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। কোন অবস্থাতেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সমান দেখছি না। কে বা কারা করছে সেটা বলতে পারবো না, কারন এসব রাতের আধারে নষ্ট করে দেয়া হয়। কিন্তু এটাও দেখছি অন্যান্য দলের প্রার্থীদের ফেস্টুন, ব্যানার, পোষ্টার অক্ষত আছে। নির্বাচনী পরিবেশ যে সবার জন্য সমান নেই তা স্পষ্টভাবেই বুঝতে পারছি।’








































আপনার মতামত লিখুন :