আর একদিন পর মহান বিজয় দিবস। গত বছরের মত এবারো বিজয়ের পতাকা বিক্রি কম হয়েছে। একেবারে হাতেগোনা বিক্রিতে চালানও উঠে নাই। তারপরও দুই দিনে পতাকা বিক্রি অপেক্ষায় প্রহর গুনছি এমন কথা জানিয়েছেন শরিয়তপুর থেকে আসা মৌসুমী পতাকা বিক্রেতা নাসিরউদ্দিন।
রোববার ১৪ ডিসেম্বর বন্দর উপজেলা হেঁটে হেঁটে জাতীয় পতাকা ছোট বড় পতাকা হকার হয়ে বিক্রিতে ঘুরছিলেন ক্রেতাদের খুঁজে।
সোনাকান্দা এলাকায় শিশু-কিশোর ও অভিভাবকরা পতাকা বিক্রিতে ভিড় করতে দেখা যায়। ছোট ছোট কাগজের বিজয়ের পতাকা বিক্রিতে ছিলো কম মূল্যে দাম। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে মহান বিজয় দিবস ঘিরে জাতীয় পতাকা বিক্রি হয় বেশি। ডিসেম্বর মাস শুরু হলেই নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-স্থানে শুরু হয় পতাকা বিক্রি। মোড়ে মোড়ে-পথেঘাটে-অলিগলি পতাকা ফেরি করে বেড়ান মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু এবার তেমনটা চোখে পড়েনি। দুয়েকজনকে পতাকা নিয়ে দেখা গেলেও বেচাবিক্রি একেবারেই কম বলে জানান। অন্যদিকে পাইকারি দোকানেও ভাটা পড়েছে পতাকা বিক্রি। তবু শেষ সময়ে পতাকা বিক্রির আশা দেখছেন বিক্রেতারা।
কালীরবাজারের পতাকা বিতানের কারিগর জাকির হোসেন বলেন, ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা দামের পতাকা তৈরি হয় আমাদের দোকানে। কিন্তু এবার পাইকারী অর্ডার না পড়ায় গত বছরের মত ভাটা পড়েছে বিজয়ের পতাকা বিক্রিতে। এখনো পর্যন্ত তেমন একটা বিক্রি হয়নি। বলা যায় গতবারের চেয়ে এবার বেচাবিক্রি একেবারেই কম। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে অনেকটা প্রভাব পড়ছেই। তবু আমরা আশাবাদী, বাকি যে কটা দিন সময় আছে বেচাবিক্রি হবে।






































আপনার মতামত লিখুন :