নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা এবং অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিবের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের আইনজীবীদেরকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি ধমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নানাভাবেই তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। যে কোনো উপায়েই হোক তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র বলছে, আগামী ২৮ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এই প্যানেলকে একচেটিয়া দাবী করে তাদের বাইরে গিয়ে আরেকটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। যে প্যানেলটি হচ্ছে সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিবের নেতৃত্বাধীন প্যানেল। কিন্তু এই প্যানেলকে মেনে নিতে পারছেন না আদালতপাড়ার কর্তৃত্বো থাকা সিনিয়র আইনজীবীরা। ফলে তাদেরকে নানাভাবে নির্বাচন থেকে সড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এরই মধ্যে ১৮ আগস্ট ছিলো মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর এই প্রত্যাহারের শেষ দিনে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা এবং অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিবের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের প্রত্যেক আইনজীবীকেই পৃথক পৃথকভাবে চেষ্টা চালানো হয়েছে বসিয়ে দেয়ার জন্য। তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রলোভিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা বলেন, আমাদেরকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে প্যানেল থেকে সরে যাওয়ার জন্য। আমাদের প্যানেলের আইনজীবীদের বহিস্কারের হুমকি দিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরকে দিয়ে আমাদের ম্যানেজ করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে যতই বাধা আসুক আমরা নির্বাচন থেকে সরে যাবো না। আমরা নির্বাচনে থাকবো আমাদের কেউ সড়াতে পারবো না।
এর আগে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা এবং অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিবের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মোল্লা বলেন, হুমায়ুন আনোয়ার পরিষদ এটা পাঁচজনের জিম্মী করা পরিষদ। হুমায়ুন সাহেব, অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, অ্যাডভোকেট খোরশেদ মোল্লা এবং অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত সাহেব।
তিনি আরও বলেন, তাদের নেতৃত্বে সমস্ত বার চলবে সেটাই তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমাদের সেখানেই বাধা। আমরা চাই সাধারণ আইনজীবীরা যাকে চায় তিনিই নেতৃত্ব দিবে। যার কারণে তাদের সাথে আমাদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তারা চেয়েছিলো অগণতান্ত্রিক পন্থা আমরা চেয়েছি গণতান্ত্রিক পন্থা।
অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মোল্লা বলেন, তারা আমাদের এতটাই ভয় পাচ্ছে যার কারছে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা গুজব ছড়িয়ে আমাদের ভোটগুলো নষ্ট করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি বক্তিগতভাবে ফোন দেয়া দিয়ে বলছে আপোষ করার জন্য। তাদের সাথে মিলে কাজ করার জন্য বলছে।
আপনার মতামত লিখুন :